সোমবার (২৭ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানায়।
নিউজিল্যান্ড দাবি করে, তারা করোনা ভাইরাসের গণসংক্রমণ রোধ করতে সক্ষম হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) থেকে জরুরি নয় এমন ব্যবসা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা কার্যক্রম আবারও চালু হবে। তবে প্রসন্নতা অনুভবের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ। কেননা এ সময়েও জনগণকে বাড়িতে অবস্থান করতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
করোনা ভাইরাস বিষয়ক সরকারের দৈনিক ব্রিফিংয়ে জেসিন্দা বলেন, ‘আমরা অর্থনীতি সচল করছি কিন্তু সামাজিক জীবনযাপন চালু হতে যাচ্ছে না। ’
দেশটিতে এখন পর্যন্ত দেড় হাজার কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছেন ১৯ জন। রোগটি প্রতিরোধে সবচেয়ে সফল দেশগুলোর একটি হলো নিউজিল্যান্ড।
জেসিন্দা সতর্ক করে বলেন, ভাইরাসটি দূর হয়েছে ঘোষণা করার অর্থ এ নয় যে, নতুন কোনো রোগী পাওয়া যাবে না। কিন্তু নতুন রোগীর সংখ্যা হবে কম এবং সহজে নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে অশনাক্ত গণসংক্রমণ নেই। আমরা এ যুদ্ধে জয়ী হয়েছি। কিন্তু এটি বজায় রাখতে হলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ’
করোনা ভাইরাস মহামারির শুরু থেকেই ভ্রমণ এবং সামাজিক কার্যক্রমে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে দেশটি। তখন মাত্র কয়েক ডজন রোগী শনাক্ত হয়েছিল সেখানে।
তখনই সীমান্ত বন্ধ করে দেয় দেশটি এবং বিদেশফেরত সবাইকে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে পাঠায়। গণহারে পরীক্ষা করতে শুরু করে তারা এবং শনাক্ত রোগীরা যাদের সংক্রমণে এসেছেন, তাদের খুঁজে বের করে।
জেসিন্দা জানান, শুরুতেই লকডাউন না করলে নিউজিল্যান্ডে দৈনিক এক হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সবার সংঘবদ্ধ কার্যক্রমের মাধ্যমে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে তারা। সেটি না করলে পরিস্থিতি কতটা খারাপ হতো তা আর জানা হবে না দেশটির, মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার মধ্যরাতে লকডাউনের সর্বোচ্চ সতর্কতা লেভেল চার থেকে তিনে নামবে নিউজল্যান্ড। ফলে বেশিরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফের চালু হবে। রেস্তোরাঁ খুলবে তবে খাবার নিয়ে বাড়িতে বা অফিসে খেতে হবে।
কাছের বন্ধু বা পরিবারের অল্প মানুষের সঙ্গেই সামাজিকভাবে দেখা করার সুযোগ থাকছে এবং একে অপরের কাছ থেকে দুই মিটার বা ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
জনসমাবেশ বন্ধ থাকবে। স্কুল এবং শপিং সেন্টার এখনই খুলবে না। সেই সঙ্গে দেশটির সীমান্তও বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
এফএম