দেশদ্রোহ, বিচ্ছেদ ও রাষ্ট্রদ্রোহের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের কথা বলা আছে হংকংয়ের ‘ক্ষুদ্র সংবিধানে’। কিন্তু এ ধরনের আইন কখনোই প্রণয়ন করা হয়নি চীনের আধা স্বায়ত্তশাসিত এ অঞ্চলটিতে।
বিবিসি জানায়, সাধারণত চীনের শীর্ষ নেতার নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোরই চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় কংগ্রেসের এ বার্ষিক সভায়।
হংকং চীনের ‘বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল’, যেখানে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতি চালু রয়েছে। গত বছরের জুন মাসে চীন প্রস্তাবিত একটি অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় অঞ্চলটিতে। পরে চীন এ বিল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তারপরও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক হংকংয়ের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল।
গণতন্ত্রপন্থিদের দাবি, চীনের নতুন আইন হংকংয়ের ‘ইতি টানবে’ অর্থাৎ অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার অবসান ঘটাবে।
পরিস্থিতি এমন যে, হংকংয়ের নির্বাচিত শীর্ষ আইনপ্রণেতাদের মতামত ছাড়াই আইনটি প্রণয়ন করতে পারে চীন।
২০০৩ সালেও এমন একটি আইন প্রণয়নের চেষ্টা করেছিল চীন। এর প্রতিবাদে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ। এ গণবিক্ষোভের মুখে চীনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
নতুন করে আবার এ আইন করার চেষ্টায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে হংকংয়ে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) এক আইনপ্রণেতা বলেন, ‘১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর এটি এখন পর্যন্ত হংকংয়ের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা। ’
নতুন এ আইন চীন মৌলিক আইনের তৃতীয় পরিশিষ্টে যুক্ত করতে পারে। ফলে হংকংয়ে আইন বা নির্দেশ জারির মাধ্যমে অবশ্যই প্রয়োগ করা জাতীয় আইনের একটিতে পরিণত হবে এটি।
চীনের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে আরও উচ্চতর গণতন্ত্র ও বাক প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে হংকংয়ে। তবে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের আশঙ্কা, চীন যেভাবে কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধীদের দমন করে, সেভাবেই বিক্ষোভ দমন করতে এ আইন ব্যবহার করা হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
এফএম