শুক্রবার (২২ মে) সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’ জানায়, করোনা ভাইরাস সংকটের আগেই যেসব ব্যবসায়ী বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে ব্যবসা কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন, তারা এবার স্থায়ীভাবে বন্ধের পথ বেছে নিতে পারেন। লকডাউন শুরুর আগের ১২ মাসে প্রায় ২ হাজার ৮শ’ রেস্তোরাঁ ও পানশালা বন্ধ হয়ে গেছে।
মার্চের শেষে লাইসেন্স করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। জুলাইয়ের শুরুতে সেবাখাত সচল হতে শুরু করলেও এটি আরও কমবে বলে মনে করছে বাজার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিজিএ অ্যালিক্সপার্টনার্স।
সিজিএ গ্রুপের প্রধান নির্বাহী ফিল টাটে জানান, সেবাখাতের ১০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবসা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাজ্যের রেস্তোরাঁ ও পানশালাগুলোতে অন্তত দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। অনেক দোকানিই বলছেন, এ নিয়ম মেনে কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয় এবং এটি লাভজনক হবে না।
এর আগে ব্রিটিশ বিয়ার অ্যান্ড পাব অ্যাসোসিয়েশন (বিবিপিএ) জানায়, দুই মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বললে প্রতি পাঁচটি পানশালার মধ্যে একটি কার্যক্রম চালু করতে পারবে। আর এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে বললে প্রায় সবগুলোই সচল করা সম্ভব হবে।
সম্প্রতি বিবিপিএ পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ৪৭ হাজার পানশালার মধ্যে ১৯ হাজার পানশালা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে।
একই আশঙ্কা করছে অনেক রেস্তোরাঁও। এর আগে ক্যাজুয়াল ডাইনিং গ্রুপ জানায়, তাদের মালিকানাধীন ২৫০টি রেস্তোরাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
এফএম