তাছাড়া, বেকারভাতার ওপর নির্ভরশীল মার্কিন নাগরিকের সংখ্যাও প্রতিনিয়ত বাড়ছে।
শুক্রবার (২২ মে) বিবিসি জানায়, চলতি সপ্তাহে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মেনুশিন সতর্ক করে বলেছেন, লকডাউন চলতে থাকলে ‘স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।
ইতোমধ্যে দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যই লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল করতে শুরু করেছে। তবে শুধু বিধিনিষেধ শিথিল করাই যথেষ্ট নাও হতে পারে।
গত সপ্তাহে বেকারভাতার আবেদন করেছেন ২৪ লাখ মার্কিন নাগরিক। মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ঠিকাদার ও অস্থায়ী শ্রমিকদের সুবিধায় বেকারভাতার জন্য আবেদনের যোগ্যতা শিথিল করা হয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা আলাদাভাবে হিসাব করা হচ্ছে। ফলে বেকারদের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটিরও বেশি কর্মী চাকরি হারিয়েছে। এতে বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। অথচ ফেব্রুয়ারি মাসেও ৫০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বেকারত্ব ছিল দেশটিতে, যা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
বেকারত্বের হার আরও বাড়বে এবং এ অবস্থা কয়েক বছর চলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
এদিকে চাকরিহারানো কর্মীদের বেশিরভাগই মনে করছেন, এ অবস্থা অস্থায়ী, সংকট কাটলে তারা আবারও চাকরি পাবেন। অপরদিকে, সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, মহামারিতে ছাঁটাই হওয়া ৪০ শতাংশেরও বেশি কর্মী সম্ভবত স্থায়ীভাবে চাকরি হারিয়েছেন।
দুই মাস আগে লকডাউন জারি করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৫০ শতাংশ পরিবারের আয় কমে গেছে। আরও ৩৭ শতাংশ পরিবার মনে করছে, আগামী মাসে তাদের আয় কমবে। ফলে ব্যয় করার সামর্থ্য কমছে। এপ্রিল মাসে ভোক্তাব্যয় কমেছে ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
এফএম