ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কিয়েভে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, পুড়ে গেছে শতাব্দি পুরোনো কাঠের মঠ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৩ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২২
কিয়েভে শক্তিশালী বিস্ফোরণ, পুড়ে গেছে শতাব্দি পুরোনো কাঠের মঠ আগুনে জ্বলছে সোভিয়াতোহিরস্ক লাভরা মঠ

একটি করে দিন যাচ্ছে ইউক্রেনের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। কৌশলগত দুটি শহর দখলের পর রুশ সেনারা আরও মরিয়া হয়ে উঠেছে।

শনিবার (৪ জুন) কিয়েভে শক্তিশালী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এক হামলায় পুড়ে গেছে দোনেৎস্ক অঞ্চলের সোভিয়াতোহিরস্ক লাভরা নামে একটি কাঠের মঠ।

রোববার (৫ জুন) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। কিয়েভে বিস্ফোরণের ঘটনাটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে খবরে জানানো হয়।

সোভিয়াতোহিরস্ক লাভরা নামে যে কাঠের মঠটি রুশ হামলায় পুড়ে গেছে, সেটি শতাব্দি পুরোনো। মঠটি ইউক্রেনের খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম পবিত্রতম স্থান বলে বিবেচিত।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোভিয়াতোহিরস্ক লাভরা মঠে হামলা ও আগুনের ঘটনায় ইউক্রেনের জাতীয়তাবাদী সেনাদের দায়ী করেছে।

টেলিগ্রামে এক বার্তায় জানানো হয়, ইউক্রেনের ৭৯তম এয়ারবর্ন অ্যাসল্ট ব্রিগেডের ইউনিট সোভিয়াতোহিরস্ক থেকে পিছু হটার সময় জাতীয়তাবাদীরা কাঠের মঠে আগুন লাগিয়ে দেয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, একটি ইউক্রেনীয় কোজাক সাঁজোয়া যানে বসানো একটি বড়-ক্যালিবার মেশিনগান থেকে কাঠামোর গম্বুজযুক্ত স্থানের কাঠের দেয়ালে গুলি করা হয়।

ইউক্রেনের সেনা কর্মকর্তা ইউরি কোচেভেনকো ফেসবুকে জ্বলন্ত মঠের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, রাশিয়ান বর্বরদের আরেকটি অপরাধ যার কাছে পবিত্র বলে কিছুই নেই।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি দেশের দেশটির অন্যতম পবিত্রতম অর্থোডক্স খ্রিস্টান সাইট সোভিয়াতোহিরস্ক লাভরার মঠ পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি আরও জানান, সেভেরোডোনেটস্ক শহরে রাস্তার লড়াই অব্যাহত রয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন।

লুহানস্ক প্রদেশের গভর্নর সেরহি হাইদাই জানান, ইউক্রেনীয় বাহিনী পূর্ব শহরের ৩০ শতাংশ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। রুশ বাহিনীর আক্রমণের জবাব দেওয়া হয়েছে। পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে শহরের আরও ২০ শতাংশ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।

সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেভেরোডোনেটস্ক শহরে কোন পক্ষ দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য গতিশীল তা নির্ধারিত হতে পারে সেখানকার পরিস্থিতির ওপর। অর্থাৎ, যে পক্ষ (ইউক্রেন বা রাশিয়া) যুদ্ধে এগিয়ে যাবে, তাদের কাছেই শহরের নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউক্রেনে যে অস্ত্র পাঠিয়েছে, তা সহজেই ধ্বংস করেছে রুশ সেনারা। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্ধৃত করে বলেছে, মস্কো সহজেই ইউক্রেনে পাঠানো মার্কিন অস্ত্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে। ইতিমধ্যে কয়েক ডজন ধ্বংসও করেছে।

সূত্র: আল জাজিরা

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, ৫ জুন, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।