আমরা প্রতিদিন কিছু না কিছু দোয়া দরুদ পড়ে থাকি। কিন্তু তার ফজিলত অনেকেই পুরোপুরি জানি না।
১. প্রতিদিন ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করলে আমলনামায় ১০০০ সওয়াব লেখা হয় এবং ১০০০ গোনাহ মাফ করা হয়। -সহিহ মুসলিম
২. ‘আলহামদুলিল্লাহ’ মিজানের পাল্লাকে ভারী করে এবং এটা সর্বোত্তম দোয়া। -তিরমিজি ও ইবনে মাজা
৩. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম জিকির। -তিরমিজি ও ইবনে মাজা
৪. ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর‘- এই কালেমাগুলো আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয়। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চাইতে আমার নিকট অধিক প্রিয় (এ কালেমাগুলো)। -সহিহ মুসলিম
৫. যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে। তার সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ (সগিরা) গোনাহ থাকলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
৬. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি সুবহানাল্লিল আজিম’ এই কালেমাগুলো জিহ্বায় উচ্চারণে খুব সহজ, মিজানের পাল্লায় ভারী, দয়াময় আল্লাহর নিকটও অতি প্রিয়। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
৭. যে ব্যক্তি ‘সুবহান আল্লাহিল আজিমি- ওয়াবি হামদিহি’ পাঠ করবে প্রতিবার তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতি) খেজুর গাছ রোপণ করা হবে। -তিরমিজি
৮. নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে ইরশাদ করেছেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ’ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের মধ্যে একটি গুপ্তধন। -সহিহ বোখারি ও মুসলিম
৯. হজরত রাসূলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউ-ওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ’- এই কালেমাগুলো হচ্ছে- অবশিষ্ট নেক আমলসমূহ। -আহমাদ
১০. হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে; আল্লাহতায়ালা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। আরও বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দরুদ পাঠ করবে- সে কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবে।
আল্লাহতায়ালা সবাইকে বেশি বেশি ফজিলতপূর্ণ এসব দোয়া, জিকির ও দরুদ পাঠ করার তওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
আরএ