মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তৎকালীণ আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় বলেন, আঘাতজনিত কারণেই রূপার মৃত্যু হয়েছে এবং মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হওয়ার আলামত পাওয়া গেছে।
দুপুর ১২টায় ২০ মিনিটব্যাপী সাক্ষ্য দেন সাইদুর। এরপর আসামি পক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন ও শামীম চৌধুরী তাকে ঘণ্টাব্যাপী জেরা করেন।
চিকিৎসক সাইদুর ছাড়াও রূপার ভ্যানেটি ব্যাগ জব্দ করার সাক্ষী পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল হান্নান এবং মরদেহের সুরতহাল করার সাক্ষী মধুপুরের জলছত্র এলাকার আব্দুল মান্নান ও শিশির মোহন সাক্ষ্য দেন।
এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
১৭ জানুয়ারি (বুধবার) এ মামলার আসামিদের ১৬৪ ধারায় দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধকারী চার বিচারিক হাকিমের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
৩ জানুয়ারি মামলার বাদী মধুপুরের অরণখোলা ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্যগ্রহণকালে মামলার পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর, চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৮
আরবি/