চাঞ্চল্যকর এ মামলায় টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া, আমিনুল ইসলাম, শামসুল আলম ও রুপম কান্তি দাস এবং জব্দ তালিকার সাক্ষী পুলিশ কনস্টেবল মাহবুবুর রহমান বুধবার (১৭ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে থাকা প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে এ সাক্ষ্য দেন।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং এরপর এক ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর আবার বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত চার বিচারক ও এক কনস্টেবলের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
এ নিয়ে এ মামলায় ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। ২১ জানুয়ারি (রোববার) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মধুপুরের অরনখোলা ফাঁড়ির পরিদর্শক কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ কৌসুলি একেএম নাছিমুল আক্তার জানান, রোববার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়েই এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হবে। এরপর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।
৩ জানুয়ারি মামলার বাদী অরণখোলা ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের শিক্ষার্থী রূপাকে চলন্ত বাসে ধর্ষণ করে পরিবহন শ্রমিকরা। বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে রূপার মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে ছবির ভিত্তিতে তাকে শনাক্ত করেন। ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া সড়কের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর, চালক হাবিবুর ও সুপারভাইজার সফর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে হাজির করা হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
আরবি/