ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মহেশখালীর ১৭ জনের অভিযোগ গঠনে আদেশ ২৬ ফেব্রুয়ারি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
মহেশখালীর ১৭ জনের অভিযোগ গঠনে আদেশ ২৬ ফেব্রুয়ারি

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রশিদ মিয়াসহ কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ১৭ জনের বিষয়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ পিছিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (২২ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।
 
আদালতে প্রসিকিউটর ছিলেন রানা দাশগুপ্ত।


 
২০১৬ সালের ১৫ মার্চ আব্দুল মজিদসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দেওয়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগে (ফরমাল চার্জ) একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, নির্যাতন, ধর্মান্তর ও দেশান্তরকরণের ১৩টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।  
এতে ৯৪ জনকে হত্যা, অসংখ্য নারী ধর্ষণ ও নির্যাতন এবং ব্যাপক লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।
 
এর মধ্যে আসামি আবদুল মজিদ ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর মারা যাওয়ার পর বর্তমানে এ মামলার আসামি ১৭ জন। এর আগে এজাহারভুক্ত ১৯ আসামির মধ্যে তদন্ত চলাকালে গ্রেফতার হওয়ার পর মৌলভি শামসুদ্দোহা (৮২) অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় তার নামও আসামি তালিকা থেকে বাদ গেছে।
 
আসামিদের মধ্যে এ পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. রশিদ মিয়া বিএ (৮৩), সালামত উল্লাহ খান (৭৭), মৌলভি নুরুল ইসলাম (৬১), বাদশা মিয়া (৭৩), ও ওসমান গণি (৬১)। তাদের মধ্যে রশিদ মিয়া বিশেষ শর্তে জামিনে আছেন।
 
পলাতক ১২ আসামি হচ্ছেন-মৌলভি জাকারিয়া শিকদার (৭৮), অলি আহমদ (৫৮), মো. জালালউদ্দিন (৬৩), মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাবুল (৬৩), মমতাজ আহম্মদ (৬০), হাবিবুর রহমান (৭০), মৌলভি আমজাদ আলী (৭০), আব্দুল শুক্কুর (৬৫), মৌলভি রমিজ হাসান (৭০), মো. জাকারিয়া (৫৮), মৌলভি জালাল (৭৫) এবং আব্দুল আজিজ (৬৮)।

২০১৫ সালের ০৮ অক্টোবর এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থা। তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) মো. নূরুল ইসলাম ২০১৪ সালের ১২ মে থেকে ওইদিন পর্যন্ত তদন্ত করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলাম পার্টির সক্রিয় নেতাকর্মী ছিলেন। এর মধ্যে সালামত উল্লাহ খান মানবতা বিরোধী অপরাধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও সমর্থক হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর পক্ষে কাজ করেছিলেন অন্যরা। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সব ধরনের মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা চালাতে সার্বিক সহায়তা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেরাও ওই সব অপরাধ করেছেন আসামিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৮
ইএস/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।