সেই সঙ্গে তিনদিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা জাহান এ নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে বানিয়াচং উপজেলার ইকরাম গ্রাম থেকে আলী হোসেন নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে আলী হোসেনের ভাই আলী সুন্দর বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আলী হোসেনের স্ত্রী রানু বেগমকেও আসামি করা হয়। পরে রানু একই ঘটনায় আদালতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি গ্রহণের আগে এ ব্যাপারে থানায় কোনো মামলা হয়েছে কি না তা সাত কার্যদিবসের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন ওসিকে। নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন না আসায় আরও তিনদিন সময় বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু মঙ্গলবার নির্ধারিত তারিখের মধ্যেও প্রতিবেদন না আসায় ওসিকে শোকজ করেন বিচারক।
রানুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাফিজ উদ্দিন জানান, রানু তার স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলেও পুলিশ উল্টো তাকেই গ্রেফতার করে এবং ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করে। আদালতের নির্দেশের পরও নির্ধারিত সময়ে তথ্য না দেওয়ায় বিচারক ওসিকে শোকজ করেছেন।
বানিয়াচং থানার ওসি মোজাম্মেল হক বলেন, রানুকে গ্রেফতার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নিয়েছেন বিচারক শম্পা জাহান। তাতে পরকীয়ার জেরে আলী হোসেনকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন রানু। আদালত যে প্রতিবেদন চেয়েছিলেন তা নির্ধারিত সময়ে দেওয়া হয়েছে। ১৮ মার্চ আমি প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেছি এবং ১৯ মার্চ আদালত পরিদর্শকের কাছে সেটি পাঠানো হয়। এখন বিচারক যদি প্রতিবেদন না পান তাহলে সে দায় আমার ওপর নয়, সেখানকার দায়িত্বশীলদের ওপর বর্তাবে।
আদালত পরিদর্শক অহিদুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে দেখবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৮
এসআই