দুই কোম্পানি এবং আটজনের খালাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) এ আদেশ দেন বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন।
তবে আত্মসমর্পণের পর তদের জামিন বিবেচনা করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
দুই মামলার মধ্যে এক মামলায় আসামি করা হয়েছে- এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক চেয়ারম্যান হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক, ডিএসইর সদস্য সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, ডিএসইর বর্তমান পরিচালক শরিফ আতাউর রহমান এবং সাবেক চেয়ারম্যান আহমেদ ইকবাল হাসানকে।
অপর মামলায় আসামি করা হয়েছিলো- সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেড, এম জি আজম চৌধুরী, শহীদুল্লাহ ও প্রফেসর মাহবুব আহমেদকে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিউল বশর ভান্ডারী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল স্বপন কুমার দাস ও সৈয়দা সাবিনা আহমদ মলি।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিউল বশর ভান্ডারী বলেন- ‘পুঁজিবাজারের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ গত ০১ ফেব্রুয়ারি দুই কোম্পানি এবং তাদের আটজনকে খালাস দেন’।
‘এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২৫ মার্চ হাইকোর্টে আপিল করেন। মঙ্গলবার আদালত তাদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন। এবং নোটিশপ্রাপ্তির একমাসের মধ্যে দুই মামলার ব্যক্তিদেরকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আত্মসমর্পণের পর তাদের জামিন বিবেচনাও করতে বলেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ দুই মামলার নথিও তলব করেছেন’।
আপিলের যুক্তির বিষয়ে শফিউল বশর ভান্ডারী বলেন, বিচারিক আদালত নথি এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ করে এ রায় দেননি। তাই বিএসইসির আপিলে মামলার রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে।
০১ ফেব্রুয়ারি খালাসের রায়ের পর বিএসইসির প্যানেল আইনজীবী মাসুদ রানা জানিয়েছিলেন, ট্রাইব্যুনাল ১৯৯৬ সালে শেয়ার কারসাজির মামলায় এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালটেন্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজ ও সিকিউরিটিজ কনসালটেন্টস লিমিটেড মামলার আসামিদের বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সে অনুসারে বিএসইসি আপিল করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০১৮/আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস