এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (০৪ এপ্রিল) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একই সঙ্গে তার চিকিৎসা ব্যয় ‘বিআরটিসি’ ও ‘স্বজন পরিবহন’র মালিকদের বহন করতে নির্দেশ দেন।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর যুক্ত করে রিট আবেদনটি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
রিট আবেদনের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
রুলে সাধারণের চলাচলে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকরে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তিরোধে প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও নতুন করে বিধিমালা প্রণয়নের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, পুলিশ প্রধান, ডিএমপি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট আট বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, আজ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় মর্মান্তিক একটি ঘটনার খবর ও ছবি প্রকাশ হয়েছে। এটা নিয়ে আদালতে আমরা জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করেছি। দুই বাসের অসুস্থ প্রতিযোগীতায় তিতুমীর কলেজের এক ছাত্রের একটি হাত কাটা গেছে। বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালত রুলসহ এ আদেশ দেন।
পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরের দিক থেকে ফার্মগেটমুখী একটি দ্বিতল বিআরটিসি বাস সার্ক ফোয়ারার কাছে পান্থকুঞ্জের পাশে সিগনালে থেমে ছিলো। পরে একই দিক থেকে আসা স্বজন পরিবহন নামের একটি বাস দ্রুতগতিতে এসে দোতলা বাসের পাশের ফাঁক দিয়ে ঢুকে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এসময় যাত্রী রাজিব হাসানের ডান হাত দ্বিতল বাসের সঙ্গে লেগে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং হাতটি দ্বিতল বাসের সঙ্গে ঝুলছিলো। পরে তাৎক্ষণিকভাবে রাজিবকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪,২০১৮
ইএস/জেডএস