আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নট প্রেসের আবেদনের পর মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এম ফারুকের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সঙ্গে ছিলেন এ কে এম এনায়েত উল্লা চৌধুরী ও শহীদুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও একরামুল হক টুটুল।
শুনানির এক পর্যায়ে মওদুদ আহমদ নট প্রেসের আবেদন করেন। এরপর আদালত আদেশ দেন।
আদেশের পর মওদুদ আহমদ বলেন, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে যেন কোনো প্রভাব না পড়ে, তাই নট প্রেসের আবেদন করেছি।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হবে ১৫ মে। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত। এখানে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। গত ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনটির সীমানা নিয়ে গেজেট জারি হয়। যেখানে শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, দক্ষিণ পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
এ কে এম এনায়েত উল্লা চৌধুরী বলেন, ২০১৩ সালে এ ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিলো। তখন বিষয়টি নিয়ে এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রাহ্য না করায় হাইকোর্টে রিট করার পর আদালত আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে এ ছয়টি মৌজা শিমুলিয়ার মধ্যেই ছিল। নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখন আবার এ ছয় মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। যেহেতু তিনি ছয়টি মৌজার ভোটেও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই এ ছয়টি মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ