এর ব্যত্যয় হলে দেশের আইনজীবী সমাজ এবং দেশের জনগণ তা গ্রহণ করবেন না। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি যে কোনও রকম ব্যত্যয়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন।
সোমবার (৩০ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে বিচারপতি স্বল্পতা রয়েছে এবং সে কারণে আমরা গত বছরের ২১ আগস্ট সাধারণ সভায় (আইনজীবী সমিতির) নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সংবিধান অনুযায়ী নীতিমালা প্রণয়ন অথবা ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া রিট মামলার রায় অনুযায়ী বিচারপতি নিয়োগের দাবি করেছিলাম। গত ২৯ মার্চ সবশেষ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা বিচারপতি নিয়োগের নীতিমালা প্রণয়ন করে বিচারপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমরা সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম আইনমন্ত্রীর মাধ্যমে আইনের খসড়া (বিচারপতি নিয়োগের) করা হয়েছে।
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, খসড়া নীতিমালা প্রণয়ন না করেই বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগের পাঁয়তারা হচ্ছে। বিচারপতি নিয়োগ হোক এটা আমরাও চাই। তবে সেটা যেন সংবিধানের ৯৫ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হয়। বিচারপতি নিয়োগে নীতিমালা বা আইন প্রণয়নে যদি বিলম্ব হয় তাহলে হাইকোর্ট বিভাগের রায়ের আলোকে বিচারপতি নিয়োগের জন্য ফের জোর দাবি জানাচ্ছি।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালতে অবশ্যই দক্ষ, মেধাবী এবং যোগ্যতাসম্পন্ন বিচারক নিয়োগের মাধ্যমে একমাত্র বিচার বিভাগ যথাযথ বিচার কার্যপরিচালনায় সক্ষম হবে। বিচারপতিরা সংবিধান অনুযায়ী নিয়োগ পাবেন, শপথ নেবেন। এটাই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি এবং দেশের জনগণ আশা করে।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এএ মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ মিতির বিএনপিপন্থী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
ইএস/জেডএস