সোমবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক যাবিদ হোসেন এ রায় দেন। এ সময় আসামি আসাদুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার শাল্টিগোপালপুর ইউনিয়নের বান্দারপাড়া গ্রামের সুলতান হোসেনের মেয়ে সুলতানা খাতুন প্রতিবেশী আলেফ উদ্দিনের বাড়িতে প্রায়ই গৃহস্থালীর কাজ করতেন।
এর সুবাদে আলেফ উদ্দিনের ছেলে আসাদুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন সুলতানাকে।
এক পর্যায়ে সুলতানা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু আসাদুলের পরিবার এতে রাজি না হলে ২০০৭ সালের ৩ জুন মিঠাপুকুর থানায় ধষর্ণ মামলা করেন সুলতানা।
দীর্ঘ ১১ বছর মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকার পর সোমবার এই মামলার রায়ে অভিযুক্ত আসাদুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ছেলে সিয়াম বাবুকে ছেলে হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রায় দেন বিচারক। আর সিয়াম প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার যাবতীয় ব্যয় বহন করতে রাষ্ট্রের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।
বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক হাসনাঈন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইমদাদুল হক।
এই মামলায় বাদীপক্ষকে সহায়তা করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ এর ‘নারী অধিকার ইউনিট। ’
এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে জানান পাবলিক প্রসিকিউটর রফিক হাসনাঈন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
এমএ/