সিটি করপোরেশনে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা নিয়ে করা একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (০৬ মে) রুলসহ এ আদেশ দেন।
রুলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজাকে অন্তর্ভুক্ত করা বেআইনি হবে না- তা চার সপ্তাহের মধ্যে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিট আবেদনটি করেন সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী বিএম ইলিয়াস কচি। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি জানান, আদালত স্থগিতাদেশসহ রুল জারি করেছেন।
এর আগে ১০ এপ্রিল এ ধরনের একটি রিট উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ (নট প্রেস রিজেক্টেড) করে দিয়েছিলেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ। পরে ওই ছয় মৌজা অন্তর্ভুক্তিরর বৈধতা নিয়ে রুলজারির আর্জি জানিয়ে নতুন করে রিট করেন সুরুজ। এ রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সিটি নির্বাচন স্থগিতের আবেদন করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ১৫ মে। ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশন গঠিত।
করপোরেশনে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৪২৫ জন। গত ৪ মার্চ সিটি করপোরেশনটির সীমানা নিয়ে গেজেট জারি হয়। যেখানে শিমুলিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বড়বাড়ী, ডোমনা, শিবরামপুর, পশ্চিম পানিশাইল, দক্ষিণ পানিশাইল ও ডোমনাগকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পুরাতন রিট আবেদনের পক্ষে বলা হয়, ২০১৩ সালে এই ছয়টি মৌজাকে গাসিকের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তখন বিষয়টি নিয়ে এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ আবেদন করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রাহ্য না করায় হাইকোর্টে রিট করেন। পরে আদালত আবেদনটি পুনর্বিবেচনা করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ২০১৬ সালে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
ওই নির্বাচনে এ ছয় মৌজা শিমুলিয়ার মধ্যেই ছিল। নির্বাচনে আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এখন আবার এসব মৌজাকে গাজীপুর সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। যেহেতু তিনি ছয়টি মৌজার ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই এসব মৌজাকে সিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮/আপডেট: ১৫৫৪ ঘণ্টা
ইএস/আরএ/এমএ