বৃহস্পতিবার (১০ মে) মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন খালেদা জিয়ার জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হেসেন কাজল শুনানিতে বলেন, খালেদা জিয়া ইচ্ছা করেই আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না। খালেদা অসুস্থ বলে হাঁটতে চান না, হুইল চেয়ারে উঠবেন না, আবার ১০০ গজ হাঁটতেও পারবেন না। মূলত আইনজীবীদের পরামর্শে তিনি আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না।
কাজল আরও বলেন, খালেদা জিয়া আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। ১০ বছরে ধরে এই অবস্থায় আদালতে উপস্থিত হয়েছেন। এখন মামলটি দেরি করানোর জন্যই আইনজীবীদের পরামর্শে আদালতে উপস্থিত হচ্ছেন না তিনি।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান শুনানি শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি পিছিয়ে ৪ জুন দিন ধার্য করেছেন। ওইদিন পর্যন্ত খালেদা জামিনও বর্ধিত করেন তিনি।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮/আপ: ১২১০ ঘণ্টা
এমআই/এএ