বৃহস্পতিবার (২৪ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ আদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্ত সুকুমার মৃধা জেলার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলি গ্রামের কমল মৃধার ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সুকুমার বাংলা ১৪০৯ সালের ৫ জ্যৈষ্ঠ রাত ১১টার দিকে একই গ্রামের একটি মেয়ের ঘরে ঢুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ঈশ্বরীপুরের একটি মন্দিরে নিয়ে তাকে সাজানো বিয়ে করেন। এরই মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন মেয়েটি। কিন্তু পরে বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন সুকুমার। পরে মেয়েটি একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন। এ অবস্থায় মেয়েটি স্ত্রী ও সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মিমাংসা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত স্বীকৃতি না পেয়ে ২০০৩ সালের ২০ জুন সুকুমার মৃধা, তার বাবা কমল মৃধা ও মা করুণা মৃধার নামে থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়ে পরে তিনি আদালতে মামলা করেন। ওই মামলা থেকে কমল মৃধা ও করুণা মৃধার নাম বাদ দেওয়া হয়।
এ মামলায় আদালত পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সুকুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বাংলানিউজকে জানান, আসামি পলাতক রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এসআই