অসুস্থতাজনিত কারণে সোমবার (৪ জুন) মামলার যুক্তিতর্ক শুনানিতে খালেদা অনুপস্থিত থাকলে তার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জামিনের মেয়াদ ২৮ জুন পর্যন্ত বাড়ান ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
এছাড়া, বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে এ মামলায় হাজিরা পরোয়ানা (পিডব্লিউ) প্রত্যাহারের আবেদনও করেছিলেন তার আইনজীবীরা।
এ মামলায় জিয়াউল ইসলাম মুন্না নামে এক আসামি ওমরায় যাওয়ার জন্য আবেদন করলে আদালত সরকারের অনুমতিসাপেক্ষে তা মঞ্জুর করেছেন।
গত ১০ মে এ মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সেদিনও খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া। খালেদা জিয়া উপস্থিত না হওয়ায় যুক্তিতর্ক পেছানোরও আবেদন করেন তিনি। আদালত যুক্তিতর্ক শুনানি পিছিয়ে ৪ জুন দিন ধার্য করেন। এদিন পর্যন্ত খালেদার জামিনও বর্ধিত করেন।
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮
এমআই/এইচএ/