সোমবার (৪ জুন) ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আতাউর রহমান এ কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পেশকার আশিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনের ২৬/২ ধারায় তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
‘রাষ্ট্রের অনুকূলে আগামী ১১ জুনের মধ্যে জরিমানার টাকা জমা দেওয়া নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে তা দিতে ব্যর্থ ব্যর্থ হলে আসামির স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ নিলামে বিক্রি করে জরিমানার টাকা আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মর্মে জানান তিনি।
সাজা ঘোষণার সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন না বলে জানান আদালতের পেশকার আশিকুর রহমান।
রায়ের বিবরণ হতে জানা যায়, ২০১০ সালের ২ মে নিজের ও পোষ্যদের স্থাবর অস্থাবর সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করতে আসামি আরশাদকে নোটিশ দেয় দুদক। ৪ মে আরশাদ নিজ স্বাক্ষতে তা গ্রহণ করেন। এরপর ১১ মে দুদকে দরখাস্ত দিয়ে হিসাব বিবরণী দাখিল করতে অতিরিক্ত আরও সাতদিন সময়ের প্রার্থনা করেন। এটিও মঞ্জুর হয়। নোটিশে প্রদত্ত্ব সময় ও বর্ধিত সময় অতিবাহিত হলেও আরশাদ দুদকে কোনো হিসাব বিবরণী দাখিল করেননি।
পরবর্তীতে ২০১০ সালের ২৯ জুন দুদকের উপ পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা বাদি হয়ে ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামি জামিনে গিয়ে পলাতক হন। ২০১২ সালের ৫ আগস্ট দুদকের উপ পরিচালক মো, ইব্রাহিম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ৫ সাক্ষীর মধ্যে চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদকের স্পেশাল পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৮/ আপডেট: ১৫৩৮
এমআই/এএটি