ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সেবায়েত নিয়োগ প্রশ্নে রুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১০ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৮
ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সেবায়েত নিয়োগ প্রশ্নে রুল

ঢাকা: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সেবায়েত নিয়োগ নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (০৪ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
 

নিজেকে মন্দিরের জমিদানকারী আত্মীয় উল্লেখ করে সেবায়েত হতে রিট দায়ের করেন পল্টন কুমার দাস নামের এক ব্যক্তি। রিটে বলেছেন, গত বছর ভারতে প্রধান সেবায়েতের মৃত্যুর পর থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কেউ সেবায়েতের দায়িত্বে নেই।

এখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবেদনকারী পল্টন কুমার দাসকে সেবায়েত হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেছেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
 
তিন সপ্তাহের মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, জেলা প্রশাসক ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
 
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।  
 
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্টের রায়ে ১৯৯৯ সালে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী প্রধান সেবায়েত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। যেটি আপিল বিভাগেও বহাল ছিল। ওই রায়ে বলা আছে, মন্দিরে জমিদানকারী অথবা জমিদানকারীর বংশধরেরা সেবায়েত নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। রিটকারী পল্টন কুমার দাসের ঠাকুর দা সুধীর কুমার দাস ঢাকেশ্বরী মন্দিরে জমি দান করেছিলেন। সিএস রেকর্ড অনুযায়ী মন্দিরের ৫ শতাংশ জমি সুধীর দাসের নামে। সে হিসেবে সেবায়েত হিসেবে রিটকারী পল্টন কুমার দাস অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা। এ কারণে তিনি রিট করেছেন।
 
পরে যোগাযোগ করা হলে পল্টন কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রধান সেবায়েত প্রদীপ কুমার চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কোনো সেবায়েত নেই। বলা যায় মন্দিরটি অভিভাবক শূন্য। প্রয়াত সেবায়েতের দুই ছেলের দু’জনই ভারতের নাগরিক। ফলে তাদের পক্ষে এ মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্ব নেওয়াও সম্ভব না।

এর মধ্যে মন্দিরটি তত্ত্বাবধানের জন্য প্রধান সেবায়েতের স্ত্রীসহ ৯ সদস্যের একটি কমিটি ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ আদালত-৪ থেকে অনুমতি নেন। কিন্তু সংক্ষুব্ধ একটি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ জুলাই হাইকোর্ট সে কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জুন ০৪,২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।