বৃহস্পতিবার (০৭ জুন) দুপুর পৌনে ১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার রশিদপুর গ্রামের মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন (২২) ও ফরহাদ হোসেন (১৯)।
এ মামলায় তাদের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
নিহত রবিউল ইসলাম একই গ্রামের আজিজুল হক ইজ্জলের ছেলে।
নাটোর জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ২০১৫ সালে ২৯ এপ্রিল রাতে রবিউলকে তার বন্ধুরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকে রবিউলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুজির তিনদিন পর ০২ মে বাড়ির কাছে চাকল বিলে তার গলা কাটা মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বাবা আজিজুল হক বাদি হয়ে গুরুদাসপুর থানায় মারুফ, ফরহাদ ও তাদের বাবা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি প্রথমে গুরুদাসপুর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম ও এসআই আতাউর রহমান তদন্ত করেন। পরে মামলাটি রাজশাহী সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির সেই সময়ের এসআই গোলাম সারোয়ার মামলার তদন্ত শেষে ৩১ অক্টোবর মারুফ, ফরহাদ ও তাদের বাবা জাহাঙ্গীরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটির দীর্ঘ শুনানি ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৯ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৮
এসআই