রোববার (১০ জুন) আসিফের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নজীবউল্লাহ হিরু ঢাকার সিএমএম আদালতে এ আবেদন করেন।
গত ৬ জুন দুপুরে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী জামিন ও রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠান।
এর আগে গত ৫ জুন দিনগত রাতে রাজধানীর মগবাজারে আসিফ আকবরের স্টুডিও থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম। ।
সোমবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় শফিক তুহিন আইসিটি আইনে আসিফের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এতে আসিফ ছাড়াও আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে শফিক তুহিন উল্লেখ করেন, আমি গত ২০ বছর ধরে সঙ্গীত পেশায় গীতিকার, সুরকার ও কন্ঠশিল্পী হিসেবে কাজ করছি। প্রায় সহস্রাধিক সঙ্গীতকর্ম আমার রচনায় এদেশে প্রকাশিত হয়েছে। কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ আমি সেরা গীতিকার হিসেবে ২০১১ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বেসরকারি পর্যায়ে প্রায় অর্ধশতাধিক পুরস্কার অর্জন করেছি। গত ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর সার্চলাইট নামক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানতে পারি, আসিফ আকবর ও তার সহকারীরা অনুমতি ছাড়াই আমার সঙ্গীতকর্মসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান সবার অজান্তে বিক্রি করেছেন। পরে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করে জানতে পারি, আসিফ আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ট্রু-টিউন, ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়ালপেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কন্টেন্ট ইত্যাদি হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
এজাহারে তিনি আরও বলেন, পরে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির এই ঘটনা উল্লেখ করে একটি পোস্ট দিই। ওই পোস্টের নিচে আসিফ নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন। পরের দিন রাত ৯টা ৫৯ মিনিটে আসিফ তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন। ৫৪ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড লাইভ ভিডিও’র ২২ মিনিট থেকে আমার বিরুদ্ধে অবমাননাকর, অশালীন ও মিথ্যা-বানোয়াট বক্তব্য দেন। ভিডিওতে আসিফ আমাকে শায়েস্তা করার কথা বলার পাশাপশি ভক্তদের যেখানে অমাকে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশনা পেয়ে আসিফের ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। এ অবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এছাড়া বিষয়টি সঙ্গীতাঙ্গনের সুপরিচিত শিল্পী, সুরকার ও গীতিকার প্রীতম আহমেদসহ অনেকেই জানেন।
তবে আসিফ আদালতে এসব কথা অস্বীকার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৮
এমআই/আরআর