রোববার (১০ জুন) নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।
শনিবার (৯ জুন) বিকেলে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে খালেদাকে দেখে বের হয়ে তার চার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দাবি করেন, ‘গত ৫ জুন দুপুরে হঠাৎ করে দাঁড়ানো অবস্থা থেকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান এবং ৫-৭ মিনিট অচেতন ছিলেন খালেদা জিয়া।
এ বিষয়ে মাহবুবে আলম বলেন, ‘খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যে বক্তব্য আদালতে (খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা) রেখেছেন, আমি জানি এ বিষয়টি নিয়ে তারা নানারকম মিডিয়াকে মাতাবেন, অনেক কিছু বলবেন। আমি আদালতে যাওয়ার আগে আইজি প্রিজনের (কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন) সঙ্গে আলাপ করেছি। আইজি প্রিজন যে তথ্য আমাকে দিয়েছেন, গত ৫ জুন ইফতারির ঠিক আগে আগে তার সুগার লেভেল কমে গিয়েছিলো। সেজন্য তিনি যে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন, এটা ঠিক না, বা অজ্ঞান ছিলেন, এটাও ঠিক না। তিনি ঠিক দাঁড়ানো থেকে ঘুরে গিয়েছিলেন, সুগার লেভেল কমে যাওয়ার কারণে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে চকলেট খাইয়ে এটা ঠিক করা হয়েছিলো। এই বয়সে যার ডায়াবেটিক আছে তার সুগার লেভেল তো সারাদিনের পরে একটু এদিক-ওদিক হতেই পারে। ’
তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে বিশেষ রকম ব্যাপার মনে হয়, আজ একটি মামলার তারিখ, আর তার আগের দিন গতকাল তার চিকিৎসকরা কারাগারে গেলেন। আর এসেই এমন একটা প্রেস কনফারেন্স করে ফেললেন যে, তিনি অজ্ঞান ছিলেন। তিনি যদি অজ্ঞান হতেন, তাহলে নিশ্চয়ই আইজি প্রিজনের কাছে রিপোর্ট থাকতো, সিভিল সার্জন জানতেন। এগুলো নিয়ে তারা একটি জনমত সৃষ্টির চেষ্টার করছেন। তিনি অজ্ঞান হননি, তার সুগার লেভেল কমে গিয়েছিলো। এই হলো আসল কথা। ’
মাহবুবে আলম বলেন, ‘দুঃখজনক ব্যাপার হলো, চিকিৎসকরাও যদি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান এবং এ ধরনের কথা বলেন- তিনি অজ্ঞান না হলেও তারা বলছেন- সাত/আট মিনিট অজ্ঞান ছিলেন, এটা দুঃখজনক। ’
‘আজকে মামলার শুনানি অথচ ব্যাক্তিগত চিকিৎসকরা গতকাল গেলেন তার সঙ্গে দেখা করতে। ৫ জুন যদি তিনি অজ্ঞান হতেন, তাহলে সেদিনই বিষয়টি মিডিয়ায় আসতো। কিন্তু তা আসেনি। আজ ১০ জুন। এ বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা হচ্ছে। একটা বিভ্রান্ত তথ্য দেওয়া হচ্ছে। ’
আদালতের সহানূভুতি পাওয়ার জন্যই তারা (খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা) এমন করছে বলেও অভিযোগ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
বিএনপি প্রধানের সঙ্গে দেখা করার পর ওই চিকিৎসকরা জানান, খালেদার স্বাস্থ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত একটি হাসপাতালে ভর্তি করতেও কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করেছেন তারা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি রয়েছেন বিএনপি প্রধান। কারাগারে খালেদাকে রাখার পর থেকেই বিএনপি অভিযোগ করে আসছে, তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এরমধ্যে বিএসএমএমইউতে নিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করায় কারা কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৮
ইএস/এইচএ/
** খালেদাকে দ্রুত ইউনাইটেডে নিতে বললেন ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা