রোববার (১০ জুন) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি মনিরুজ্জামান রুবেল ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে মানিক জানান, খালেদা জিয়ার ঢাকার মানহানির মামলায় জামিন চেয়ে করা এক আবেদনের ওপর সম্প্রতি একটি আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদেশে বলেছেন, জামিন আবেদনকারী অন্য মামলায় খালেদা কারাগারে রয়েছেন সেহেতু এই মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করার কোনো দরকার নেই। একইসঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে জামিন আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তিনি বলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতে মানহানি মামলার ওই আদেশ নিয়ে আপিল বিভাগে আবেদনের কথা বলে সময় নিয়েছেন। এরপর আদালত সোমবার শুনানির জন্য দিন ঠিক করেছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৫ জুন) এ আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতিকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করে। গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে গ্রেফতার দেখানোর পর জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে আবেদন নামঞ্জুর করে ৮ আগস্ট পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিনসহ আপিল আবেদন করেন খালেদা জিয়া।
এদিকে একই মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আরও একটি আবেদন বিচারাধীন রয়েছে।
৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের দণ্ড নিয়ে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৮
ইএস/আরআর