তাদের বিরুদ্ধে র্যাবের দাখিল করা চার্জশিট উপস্থাপনের পর রোববার (১৫ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসউদ উর রহমান তাতে ‘দেখিলাম’ লিখে স্বাক্ষর করেন। একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে মাদক মামলায় চার্জশিট দেয় র্যাব। রোববার মামলার ধার্য তারিখে তা আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
সম্রাটকে গত ৫ অক্টোবর গ্রেফতার করার পর তার নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দুই মামলাতেই সম্রাটকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা। তার দুটি মামলাই বিচারের জন্য বদলি হয়ে এখন মহানগর দায়রা জজ আদালতে গিয়েছে।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে একটি মামলা করেছে।
গত ৫ অক্টোবর দিনগত গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরদিন তাদের নিয়ে রাজধানীতে নিজ নিজ বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে র্যাব।
এছাড়া মদ্যপ অবস্থায় পেয়ে আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর গত ৭ অক্টোবর রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
কেআই/জেডএস