রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন দিয়েছেন। একইসঙ্গে এই সময়ের মধ্যে তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
ফখরুল ছাড়া অন্যরা হলেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব হাবীব উন নবী সোহেল, খায়রুল কবির ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, জাতীয় কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী ও শাহ আবু জাফর, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালা উদ্দিন টুকু, বিএনপি নেতা খন্দকার আবু আশফাক ও ইশতিয়াক আজিজ উলফত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত ১১ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পৌনে ৫টার মধ্যে হাইকোর্টের মাজার গেট, ঈদগাহ মাঠের গেট ও বার কাউন্সিলের গেটের সামনে তিনটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ১৩৫ জনকে আসামি করে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। ১২ ডিসেম্বর মামলা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান।
তিনি জানান, হাইকোর্ট এলাকায় মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে নাশকতার অভিযোগে শাহবাগ থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। এক মামলায় আসামির সংখ্যা ৭০ এবং আরেকটিতে ৬৫ জন।
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ছামসুল রহমান ও এসআই ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে মামলা দু’টি দায়ের করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৯
ইএস/এসএ