ঈদকে সামনে রেখে মাগুরার সুচিশিল্পীরা এখন দারুণ ব্যস্ত। কেবল ঈদের সময়ই নয়, সারা বছরই চলে তাদের এই কাজ।
শহরের ইসলামপুর পাড়ার একটি বুটিক কারখানার মালিক আছমা খাতুন জানান, তার কারখানায় ১৫০ জন নারী নিয়মিত কাজ করছেন। এখানে সুইয়ের মাধ্যমে শাড়ি, থ্রি পিস, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ও নকশিকাঁথায় চুমকি, সুতা, স্টোন, স্প্রিং প্রভৃতি লাগিয়ে সাধারণ কাপড়কে আকর্ষণীয় সব ডিজাইনে ফুটিয়ে তোলা হয়। এসব ডিজাইন করা শাড়ির দাম ৩ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। পাঞ্জাবি রয়েছে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। থ্রি পিস ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা এবং ফতুয়া ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত।
আছমা খাতুন আরও জানান, এখানে কর্মরত নারীদের সবাইকে কাজের ওপর ভিত্তি করে মজুরি দেওয়া হয়। একটি শাড়িতে চুমকি, স্প্রিং, স্টোন ও সুতার কাজ বাবদ একজন শ্রমিককে ১০০ থেকে ১২০০ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এক সময় এসব নারী নামমাত্র বেতনে শহরের বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গৃহপরিচারিকাসহ নানা কষ্টকর পেশায় নিয়জিত ছিলেন। আর এ আয় দিয়ে তাদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করতো। বর্তমানে এখানে কাজ করে তারা স্বাবলম্বী হয়েছেন। পাশাপাশি এসব অবহেলিত নারীর তৈরি আকর্ষণীয় শড়ি, পাঞ্জাবি, থ্রি পিস মাগুরার বাজার ছাড়িয়ে ঢাকার অভিজাত দোকনগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি এখানকার পোশাক অনেক ব্যবসায়ী বিদেশেও রপ্তানি করছেন।
মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়া বুটিক কারখানায় কর্মরত অঞ্জনা ও সজনা নামে দুজন কর্মী জানান, ‘আগে অনেক কষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন চললেও আছমা আপার বুটিক কারখানায় কাজ করে মাসে কমপক্ষে ৫ হাজার টাকা আয় করছি। আর তা দিয়েই আমাদের সংসার ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চালিয়ে নিচ্ছি। ’
মাগুরার মোহাম্মদপুর উপজেলার আড়মাঝি গ্রমের বুটিক কারখানার মালিক ফিরোজা বেগম জানান, তার কারখানায় ৫০ জন নারী কাজ করছেন। তাদের ডিজাইন করা পোশাকের বেশ চাহিদা রয়েছে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৯৫০, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১০