মৌলভীবাজার: ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে ‘চায়ের রাজধানী’ শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা। চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে এখানে।
সকালে এবং রাতে শীতের উপলব্ধি বেশি থাকলেও দিনে কিছুটা গরম অনুভূত হচ্ছে। তবে বিকেল এবং সন্ধ্যা আসার সঙ্গে সঙ্গে গরম উধাও হয়ে কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে এই প্রত্যন্ত চা জনপদের চারদিক।
মধ্যে মধ্যে সকালের দিকে ঘনকুয়াশা ঢাকা থাকে চারদিক। এই কুয়াশার আবির্ভাব হয় আগের রাত থেকে। সড়ক পথে কার, বাস, ট্রাকসহ যানবাহনগুলো দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে গাড়ির প্রধানলাইট জ্বালিয়ে যাতায়াত করে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শ্রীমঙ্গল-এর আবহাওয়া সহকারী মো. আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আজ বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। তবে সকাল ৬টায় এই তামপাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছরের শীত মৌসুমে এটিই শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে শ্রীমঙ্গলে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। নভেম্বর থেকে হঠাৎ করে শীতের তীব্রতা অনুভূত হতে শুরু করেছে। আমাদের রেকর্ড অনুযায়ী, আগামীতে এখানকার শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারী খলিলুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার তালিকায় এই প্রথম উঠে এলো শ্রীমঙ্গলের নাম।
তিনি আরও বলেন, সিলেট বিভাগের মাঝে সবচেয়ে বেশি শীত শ্রীমঙ্গলেই রেকর্ড করা হয়। প্রকৃতি ও পরিবেশগত কারণে শ্রীমঙ্গলে ঠান্ডা সিলেটের অন্যান্য জায়গার তুলনায় বেশি। বুধবার সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২২
বিবিবি/এসএ