ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু, মায়ের নামে হত্যার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
দেয়াল চাপায় শিশুর মৃত্যু, মায়ের নামে হত্যার অভিযোগ

বরগুনা: বরগুনা পৌর এলাকায় নানার নির্মাণাধীন ভবনের দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে আতিকুর রহমান (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে শিশুটির বাবার পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

বুধবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরগুনা পৌর শহরের ধানসিঁড়ি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত আতিকুর বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের খাজুরতলা গ্রামের সাদিকুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় আতিকুরকে হাত-মুখ ধোয়াতে যান তার মা কারিমা। এসময় আতিকুর তার নানার নির্মাণাধীন ভবনের একটি দেয়ালে উঠতে গেলে দেয়ালটি ভেঙে তার গায়ে ধসে পড়ে। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

তবে নিহতের দাদাবাড়ির স্বজনরা জানান, কয়েক বছর আগে ধানসিঁড়ি রোড এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে কারিমা আক্তারকে বিয়ে করেন সাদিকুর৷ তাদের ঘরে আতিকুরের জন্ম হয়। এরপর গত ৭ মাস আগে সাদিকুরের বাড়ি থেকে চলে আসেন কারিমা। আতিকুর তার বাবার বাড়িতে থাকত। সপ্তাহখানেক আগে কারিমা সাদিকুরের বাড়িতে গিয়ে তিন/চার দিন থাকেন। এরপর হঠাৎ কাউকে না জানিয়ে শিশু আতিকুরকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। এরপর আজ সন্ধ্যায় কেউ ফোন করে আতিকুরের বাবাকে জানায় তার ছেলে ছাদ থেকে পরে মারা গেছে।  

নিহত শিশু আতিকুরের দাদা রফিকুল খান অভিযোগ করে বলেন, কোরবানির ঈদে আমার পুত্রবধূ হঠাৎ বাবার বাড়ি চলে আসে। এরপর পর থেকে আর আমাদের বাড়িতে যায়নি। পরে কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়িতে এসে কয়েকদিন থেকে নাতিকে নিয়ে আবার চলে আসে। এরপর আজ সন্ধ্যায় কে যেন ফোন দিয়ে আমার ছেলেকে বলে আতিকুর ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে৷ হাসপাতালে এসে শুনি দেয়াল চাপায় মারা গেছে। আমার পুত্রবধূ নাতিকে ষড়যন্ত্র করে হত্যা করেছে। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাই।

নিহতের মা কারিমা আক্তার বলেন, আমার ছেলেকে সন্ধ্যায় হাত মুখ ধোয়ানোর জন্য ডেকে আনি৷ তখন সে নির্মাণাধীন দেয়ালে উঠতে গেলে সেটি তার গায়ে ধসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার জানায় আমার ছেলে মারা গেছে।  

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করেছে। তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাইনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।