ঢাকা, সোমবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ জুলাই ২০২৪, ২৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারকে চাপে রাখতে কিছু দেশ মানবাধিকারের ধুয়া তোলে: তথ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
সরকারকে চাপে রাখতে কিছু দেশ মানবাধিকারের ধুয়া তোলে: তথ্যমন্ত্রী তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

ঢাকা: সরকারকে চাপে রাখতে মানবাধিকারকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে কয়েকটি দেশ। এমনটি বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

 

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে দুটি বইয়ের মোড় উন্মোচন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপ নিয়ে রুশ দূতাবাসের বিবৃতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের ভিয়েনা কনভেনশন মেনে চলা উচিত। রুশ দূতাবাস থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, সেখানে অনেকগুলো কথা বলা হয়েছে।  

তিনি বলেন, কিছু দেশ যখন সরকারকে চাপে রাখতে চেষ্টা করে, তখন তারা মানবাধিকারের ধুয়া তোলে। অর্থাৎ তারা সরকারকে চাপে রাখতে মানবাধিকারকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে। রুশ বিবৃতিতে সেই কথাও এসেছে।

তিনি আরও বলেন, যেসব দেশে মানবাধিকার চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়, তারাই সবচেয়ে বেশি মানবাধিকারের কথা বলে। কিন্তু বাংলাদেশের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের হস্তক্ষেপের বিষয়টি তুলে ধরেছে রুশ দূতাবাস। আমরা এমন বিবৃতি দেখিনি, তবে যারা ভিয়েনা কনভেনশন অমান্য করেন, তাদের বোধোদয় হওয়ার ক্ষেত্রে এটি সহায়ক হবে।  

হাছান মাহমুদ বলেন, যখন বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করেন, তখন তা আমাদের স্বাধীনতার স্বকীয়তার জন্য হস্তক্ষেপ হয়ে দাঁড়ায়। তবে যারা এই নাক গলান, তাদেরই দোষ দিচ্ছি না, বরং যারা ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে ছুটে গিয়ে তাদের পদলেহন করেন, তারাও দায়ী।  

তিনি বলেন, কেবল পদলেহনই না, তাদের (কূটনীতিকদের) বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাতে উদ্বুদ্ধ করা হয়। যারা এমনটি করেন, তারাই সত্যিকারের দোষী।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০২২
জিসিজি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।