ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নেত্রকোনায় ২০২২ সালে ২৫১ অস্বাভাবিক মৃত্যু 

আব্দুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
নেত্রকোনায় ২০২২ সালে ২৫১ অস্বাভাবিক মৃত্যু 

নেত্রকোনা: ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত গত এক বছরে নেত্রকোনা জেলায় ২৫১টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।  

এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ সব অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে বেশিরভাগ ঘটনা ঘটেছে সড়ক দুর্ঘটনায়।

সড়ক দুর্ঘটনায় ক্রমশ মৃত্যুর মিছিল বেড়ে যাওয়ায় জনমনে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বাড়ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মধ্যে আরও রয়েছে হত্যা, আত্মহত্যা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু। এছাড়াও পানিতে ডুবে মৃত্যু ও ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা নেত্রকোনায় সংরক্ষণ না হওয়ায় তার পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সচেতন বিশ্লেষকদের মতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি হিসেবের চেয়েও অনেক বেশি। কারণ অনেক সময় নিভৃতপল্লী এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনা, পানিতে ডুবে মৃত্যু, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কেউ মারা গেলে পুলিশি হয়রানি কিংবা ময়নাতদন্তে কাঁটা ছেড়ার ভয়ে প্রশাসনকে না জানিয়ে অথবা জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করায় সরকারি হিসেবে তা নথিভুক্ত হয় না।

নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের সূত্রমতে, জেলায় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে ১৩টি, ফেব্রুয়ারি মাসে ১৯, মার্চ মাসে ১৯, এপ্রিল মাসে ২৫, মে মাসে ২৫, জুন মাসে ২২, জুলাই মাসে ২৭, আগস্ট মাসে ২১, সেপ্টেম্বর মাসে ২১, অক্টোবর মাসে ১৯, নভেম্বর মাসে ২৩ ও ডিসেম্বর মাসে ১৬টিসহ মোট ২৫১টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার, সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ করতে হলে সবার আগে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, জেলা পরিবহন মালিক সমিতি ও জেলা মোটরযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে সব ধরনের যানবাহন চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ গাড়িচালক তৈরি করার পাশাপাশি রাস্তায় কিভাবে গাড়ি চালাতে হয়, সেসব নিয়ম কানুন সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক, অদক্ষ এবং মাদকাসক্ত অবস্থায় কেউ যেন গাড়ি না চালায় এবং ট্রাফিক আইন যাতে সবাই মেনে চলে তার জন্য ট্রাফিক বিভাগকে আরও সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

নেত্রকোনা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা বাস-ট্রাক চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাসহ চালক হেলপার ও পথচারীদের স্ব স্ব স্থান থেকে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি।  

পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে নিরাপদ সড়ক আইন বাস্তবায়নে আমরা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়াও পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও ট্রাফিক আইন মেনে চলতে চালক, হেলপার ও পথচারীদের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পুলিশ বিভাগ সড়ক দুর্ঘটনার পরপরই মামলা নিচ্ছে এবং অভিযুক্ত চালকদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।