ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সপ্তাহে তো নয়ই, দু’মাসেও মেরামত হয়নি সেই চলন্ত সিঁড়ি

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
সপ্তাহে তো নয়ই, দু’মাসেও মেরামত হয়নি সেই চলন্ত সিঁড়ি

ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের চলন্ত সিঁড়িটি (এসকেলেটর) বিকল আজ বহুদিন। এ নিয়ে গণমাধ্যমগুলোয় বিভিন্ন সময়ে একাধিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়।

 

২০২২ সালের ২৭ নভেম্বর এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয় বাংলানিউজে।  ‘বিমানবন্দর এলাকায় অচল এস্কেলেটর, যাত্রীদের ভোগান্তি’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর এক সপ্তাহের মধ্যে চলন্ত সিঁড়িটি মেরামত করার আশ্বাস দেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। কিন্তু, প্রায় দুই মাস পেরিয়ে গেলেও কথা রাখেনি ডিএনসিসি।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সরেজমিনে ঘুরে সিঁড়িটি অকেজো দেখা যায়। পথচারী ও বিমানবন্দরগামী যাত্রীরা পায়ে হেঁটেই সেটি পার হচ্ছেন।

ফুটওভার ব্রিজে ব্যাগ কাঁধে পার হচ্ছিলেন এমন একজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। তার নাম আবদুস সালাম। বড় ভাইকে নিতে বিমানবন্দরে এসেছিলেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়। আক্ষেপ করে তিনি জানান, এর আগে যতবারই এসেছেন, চলন্ত সিঁড়ি বেয়েই মালামাল নিয়ে যাতায়াত করেছেন।

ঢাকায় উত্তর সিটির নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় এ রকম অন্তত পাঁচটি এসকেলেটর রয়েছে, যেগুলো আদতে অকেজো। কিংবা কখনও-কখনও চললেও অধিকাংশ সময়ই বন্ধ পড়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে অকেজো কিংবা প্রায় অকেজো এসব চলন্ত সিঁড়ি সাধারণ জনগণের কোনো উপকারেই আসছে না।

বিমানবন্দর এলাকায় কথা হয় রাসেল হোসেন নামে অপর একজনের সঙ্গে। নিরাপত্তাজনিত কারণে মালামাল নিয়ে প্রবাসী এ ব্যক্তি ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে পারেননি বিমানবন্দরে। ফলে, সড়কের উলটো পাশে নেমে নিজের ভারী ব্যাগ নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে ফুটওভার ব্রিজ পার হলেন তিনি। জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এসকেলেটর আছে ঠিকই, কিন্তু কোনো কাজে আসছে না। তাহলে এ ধরণের জিনিস লাগিয়ে লাভ কি?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নাঈম রায়হান খান বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দুইটা বেল্ট ছিল ওখানে। যেগুলোতে সমস্যা হয়েছিল। বেল্ট আমরা অলরেডি অর্ডার দিয়েছি। কিন্তু, চীন থেকে আসতে একটু লেট হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, আমার ঠিকাদারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এটা আমাদের পয়েন্টেও চলে এসেছে। এখন আমরা শুধু প্রতিস্থাপন করব আরকি।

এ দফায় কতদিন সময় লাগবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা চেষ্টা করছি এ সপ্তাহে করার। আমরা আসলে শুক্র, শনিবার ছাড়া কাজ করতে পারছি না। কারণ, অন্যান্য দিন কাজ করতে গেলে পুরো ব্রিজটা ব্লক হয়ে যায়। যার কারণে এ সপ্তাহে করছি না, আমরা চেষ্টা করছি আগামী শুক্র-শনিবার কাজটা করার জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২৩
এমকে/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।