ঢাকা: পুলিশ ভেরিফিকেশনে (যাচাই) রাজনৈতিক মতাদর্শ না দেখার সুপারিশ করেছে পুলিশ সংস্কারে গঠিত কমিশন৷ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে কমিশন এ সুপারিশ করে৷
সুপারিশে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্রধারী (এনআইডি) চাকরিপ্রার্থীদের স্থায়ী ঠিকানা অনুসন্ধানের বাধ্যবাধকতা রহিত করা যেতে পারে৷ চাকরিপ্রার্থীর বিভিন্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষা সনদপত্র, ট্রান্সক্রিপ্ট, মার্কশিট ইত্যাদি যাচাই-বাছাই করার দায়-দায়িত্ব নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে। এগুলো পুলিশ ভেরিফিকেশনের অংশ হবে না।
এতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীর রাজনৈতিক মতাদর্শ যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজনীয়তা রহিত করাসহ এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট বিধিমালা সংস্কার করা যেতে পারে। তবে চাকরিপ্রার্থী বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা সংক্রান্ত কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তা ভেরিফিকেশন প্রতিবেদনে প্রতিফলিত করতে হবে।
কমিশন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা সুপারিশে বলছে, চাকরির জন্য সব পুলিশ ভেরিফিকেশন সর্বোচ্চ এক মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে এবং অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ পনেরো দিন পর্যন্ত সময় বাড়ানো যেতে পারে।
সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, ব্রিটিশ আমলে প্রণীত কিছু কিছু আইন ও প্রবিধান যুগের প্রয়োজনে সংস্কার বা হালনাগাদ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কমিশন কয়েকটি আইন নিয়ে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে তা যুগোপযোগী করার জন্য সুপারিশ করেছে।
পুলিশ আইন, ১৮৬১; পুলিশকে জনবান্ধব ও জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক বাহিনী বা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার জন্য এ আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা পরিমার্জন অথবা- নতুন আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।
ফৌজদারি কার্যবিধি, ১৮৯৮; বলপ্রয়োগ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় এ আইনের প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে। পিআরবি, ১৯৪৩; জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক পুলিশ বাহিনী গঠনে এ প্রবিধানমালায় সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পরিবর্তন বা পরিমার্জন অথবা নতুন প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৫
জিসিজি/আরএইচ