ঢাকা: তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হলো গ্লোবাল চেঞ্জমেকার সামিট এবং পুরষ্কার বিতরণ-২০২৩।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর হোটেল এমপেরিয়ানে দেশের বিশিষ্টজন এবং সমাজসেবকদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনটি আয়োজন করা হয় তিনটি দেশের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে 'এইচ এন্ড এইচ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন', ভারতের পক্ষ থেকে 'প্রোজেক্ট ১০০' এবং নেপালের পক্ষ থেকে 'হিউম্যান হারমনি' এই সামিটের আয়োজক। এর আগে ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডুতে এই সামিট অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা তাদের বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
আলোচনা শেষে জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও শিক্ষা, ক্রিয়া ও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় ৩৮টি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিকে পুরস্কৃত করা হয়। এর মধ্যে ১৬টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান, ১৮ জন তরুণ উদ্যোক্তা ও ৪ জন জ্যেষ্ঠ উদ্যোক্তা পুরস্কার পান।
পুরস্কৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ফিলিপাইন, কানাডা ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা শুধুমাত্র আমাদের দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা দরিদ্রতা, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানান সামাজিক বাধা অতিক্রম করে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ আয়োজন প্রমাণ করে যে কোনো পরিবর্তনে তরুণরা সবচেয়ে বেশি এগিয়ে। যেমনটা দেখা যায় আমাদের ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে। সেখানে তরুণরাই প্রশংসনীয় ও সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। আমি এই অনুষ্ঠান থেকে প্রত্যাশা করব, বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের তরুণরা জলবায়ু পরিবর্তনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
এইচ এন্ড এইচ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক এম সাফাক হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার উরেয়া, নেপালের ডেপুটি কমিশন লালিতা সিলওয়াল, ব্রুনাইয়ের হাই-কমিশনার হাজি হারিস বিন আতমান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেনসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিআইটি স্কুল লিমিটেডের ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক রোজানা সামদানি মিশেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
ইএসএস/এনএস