ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ক্ষমতাবানরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে: কাজী খলীকুজ্জমান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
ক্ষমতাবানরাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করে: কাজী খলীকুজ্জমান আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা । ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেছেন, ক্ষমতাবানরাই মূল্যবোধের অবক্ষয় ও নৈতিকতার সংকটে নিজের ক্ষমতা চরিতার্থ করার জন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন করে।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘মানবাধিকার সুরক্ষায় গণমানুষের প্রত্যাশা: গণমাধ্যম ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সমন্বিত প্রয়াস’ শীর্ষক এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে ১৬৯টি টার্গেটের মধ্যে ১৫৬টিই মানবাধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। এজন্য মানবাধিকার কমিশন দেখতে পারে লক্ষ্যমাত্রা সঠিকভাবে অর্জিত হচ্ছে কি না।

সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নিয়ে কাজ করতে কমিশনকে পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ।  

নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেন তিনি বলেন, সামনের বছর নির্বাচন। নির্বাচন এলেই ২০১৪ সালের মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনা মনে পড়ে। অথচ রাজনীতিবিদেরা বলেন, তারা মানুষের জন্য রাজনীতি করেন।

গাইবান্ধার এক ঘটনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, গাইবান্ধায় সরকারি বাহিনী পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছিলো সরকারি বাহিনী।  

নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, গ্রামাঞ্চলে নারী নির্যাতনের পরিমাণ অনেক বেশি। প্রতিবন্ধীরাও পিছিয়ে রয়েছে। শারীরিক, মানসিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তারা পিছিয়ে।  

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে।  

তিনি বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। আবার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে ভালো গণমাধ্যম পাওয়া যায় না। সারাবিশ্বে মাত্র ১৩ ভাগ মানুষ সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ভোগ করে।

তিনি আরও বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৯৫ বারেও দেওয়া যায়নি। কেন দেওয়া যায়নি, এই ব্যাখ্যায় আমাদের যাওয়া উচিত। সাগর-রুনির সঙ্গে কী ঘটেছিল, আমরা সাংবাদিকেরাও তা নিয়ে ভালো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে পারিনি।

সিনিয়র সাংবাদিক জ ই মামুন বলেন, যার যত ক্ষমতা, তার মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি। ক্ষমতাবানদের বাইরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নেই। আমরা আশা করব, কমিশন এই ক্ষমতাবানদের ভয় পাবে না।  

তিনি বলেন, অন্য কমিশনের মতো মানবাধিকার কমিশনকেও যেন মানুষ নখদন্তহীন প্রতিষ্ঠান মনে না করে। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে মানবাধিকার কমিশন যেন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা'র সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. কামাল উদ্দিন আহমদ।

আরও বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক কাজী আরফান আশিক, সাংস্কৃতিক কর্মী পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়  সিনিয়র সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বুলবুল, সোহরাব হোসেন, আইনজীবী ড. তানিয়া হকসহ মানবাধিকার কর্মী ও গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এনবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।