পিরোজপুর: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মারিয়া আক্তার তন্বী (১৫) নামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের অমতে পালিয়ে বিয়ে করার তিন মাস পরে বনিবনা না হওয়ায় ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে।
তবে তন্বীর মৃত্যুর ঘটনা পরিকল্পিত হত্যা দাবি করে তার ভাই মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে চারজনকে আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নিহত তন্বী আক্তারের স্বামী পৌর শহরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মিনহাজুল রহমান রাব্বি, শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মুজিবুর রহমান, শাশুড়ি শিরিন বেগম, ননদ মাকসুদা আক্তার।
নিহত তন্বী উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামের দুবাই প্রবাসী হাবিবুর রহমানের মেয়ে। সে মঠবাড়িয়া কেএম লতিফ ইনস্টিটিউশনের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের শ্বশুর মুজিবুর রহমান, শাশুড়ি শিরিন বেগম, ননদ মাকসুদা আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে মাঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মারিয়া আক্তার তন্বীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে তন্বীর স্বামী মিনহাজুল রহমান রাব্বি পলাতক রয়েছেন।
নিহত তন্বীর চাচাতো ভাই ফোরকান হোসেন জানান, দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া তন্বী রাব্বির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তিন মাস আগে ঢাকায় পালিয়ে যায় তারা। এদিকে তন্বীর মা শোক সইতে না পেরে স্ট্রোক করে মারা যান। পরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান শিকদার ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান মিলনের মধ্যস্থতায় সম্প্রতি তাদের বিয়ে হয়। ঢাকায়ও তাদের বিয়ে হয়েছিল।
বিয়ের পরে তন্বী তার ভাইকে মাঝে-মধ্যে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করত। সোমবার সকালে ভাইকে ফোন করে যেতে বলে, কিন্তু তন্বীর ভাই ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেনি। বিকেলে আবারও যেতে বললে তন্বীর ভাই যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এরই মধ্যে বিকেল ৫টার দিকে তাকে তন্বীর শ্বশুরবাড়ি থেকে বলা হয় হাসপাতালে যেতে। হাসপাতালে গিয়ে বোনের লাশ দেখতে পান।
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক রাব্বিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
আরএ