ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

২০৪১ সালে মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ডলার: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
২০৪১ সালে মাথাপিছু আয় হবে ১২ হাজার ডলার: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে এবং সে সময় দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় ১২ হাজার মার্কিন ডলার হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমাদের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার করতে পেরেছি। আমাদের এখানে থেমে থাকলে চলবে না, ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। ২০৪১-এর মধ্যে অন্তত ১২ হাজার মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয় হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে সে সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি; এবার ঘোষণা দিয়েছি ২০৪১ এ বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। স্মার্ট বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন স্মার্ট জনগোষ্ঠী, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স অর্থাৎ ই গভর্নেন্স সেই সঙ্গে জনগণও যেন স্মার্ট হয়।

কেউ পিছিয়ে থাকবে না জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, সবক্ষেত্রে কেউ পেছনে পড়ে থাকবে না। যারা আছে পিছে আমরা আছি তাদের সঙ্গে। আমরা তাদের সঙ্গে আছি, তাদেরকে সামনে নিয়ে আসতে হবে। তাদের জীবনটা সুন্দর করতে হবে।

করোনা মহামারী মোকাবিলায় সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এ করোনার জন্য অনেক দেশই পিছিয়ে গেছে। আমরাও একটা ধাক্কা কিন্তু পেয়েছিলাম, আমরা মানুষকে বুঝতে দেইনি। এ করোনাকালে যতগুলো কাজ আমরা করেছি, আমাদের মাঠ প্রশাসন আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।

দেশকে এগিয়ে নিতে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ যে এগিয়ে যেতে পেরেছে করোনা মহামারির মধ্যেও কিন্তু আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল। এজন্য আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমার সঙ্গে যারা কাজ করে যাচ্ছেন সবার মধ্যে আমি লক্ষ্য করেছি; যে জিনিসটা আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল, একটা আমলাতান্ত্রিক ভাব নিয়ে না থাকা, জনগণের সঙ্গে মিশে যাওয়া, জনগণের সুখ-দুঃখের সাথী হওয়া, আপনারা সেটা হতে পেরেছেন।

নিজেকে জনগণের সেবক দাবি করে টানা তিনবারের সরকার প্রধান বলেন, আমি যখন সরকার গঠন করেছি, এটাই বলেছি যে আমি জনগণের সেবক; যেটা আমার বাবাও বলেছিলেন। তারই কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমি বলেছি আমরা জনগণের সেবক। এখানে ক্ষমতাটা উপভোগ করতে আসেনি, এসেছি দিতে, মানুষের জন্য কিছু করতে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
এমইউএম/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।