ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

১১ দিন আগে চুরি, সেই চোরকে ঢামেকে ধরে ফেললেন দম্পতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
১১ দিন আগে চুরি, সেই চোরকে ঢামেকে ধরে ফেললেন দম্পতি ঢামেকে পুলিশের হাতে আটক চোর ফয়সাল

ঢাকা: এগারো দিন আগে টাকা ও আংটি ছিনতাই করে পালিয়ে যাওয়া চোরকে চিনে ধরে ফেললেন দম্পতি।  

ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের (ঢামেক) নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় প্যাথলজির বিভাগে রোববার (২৯ জানুয়ারি) ঘটেছে এই ঘটনা।

 

সেই চোরের নাম ফয়সাল দেওয়ান রানা। ঢামেকে ফের চুরি করতে এসে ধরা পড়লেন তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি নতুন ভবনের নীচ তলায় ওই নারীর টাকা ও আংটি চুরির একটি ঘটনা ঘটে। সেদিন তিনি আমাদের কাছে এসেছিলেন। আমরা শাহবাগ থানায় পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। উনি থানায় জিডি করেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আজ সেই চোরকে ধরে ফেলেছেন তারা। বর্তমানে পুলিশ ক্যাম্পে আটক আছে ফয়সাল দেওয়ান রানা নামে ওই যুবক। তাকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হবে।

হাসপাতালে নিরাপত্তায় থাকা আনসারদের (এপিসি) মতিউর জানান, ১৮ জানুয়ারি হাসপাতালে নতুন ভবনের নিচ তলায় আসমা আক্তার নামে এক নারী অসুস্থ অবস্থায় কান্নাকাটি করছিলেন। তিনি বলছিলেন তার টাকা ও আংটি নিয়ে গেছে কেউ।

আসমা আক্তার বলেন, আামর স্বামী হার্নিয়া রোগে আক্রান্ত। গত ১১ জানুয়ারি তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করি।  গত ১৮ জানুয়ারি নতুন ভবনের নিচ তলায় স্বামীর রক্তের নমুনা প্যাথলজি বিভাগে জমা দিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ফয়সাল (চোর) ও তার সঙ্গে থাকা এক মহিলা আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আপনার রোগী এই হাসপাতালে আছে? একপর্যায়ে তারা বিভিন্ন কথা বলে আমার কাছে থাকা হাতের আংটি ও ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে যায়। ব্যাগে ১৮ হাজার টাকা ছিল আর স্বর্ণের আংটিটির ওজন ছিল দুই আনা। আমি কিছুই টের পাইনি। হঠাৎ অসুস্থ বোধ করছিলাম, এরপর খেয়াল করলাম আমার ব্যাগ নাই। পরে ওখানে আমি দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করলে হাসপাতালে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকা আনসারের এপিসি, মতিউর তাকে হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়।

আসমা আরও বলেন, আজ স্বামীকে নিয়ে অস্ত্রোপচারের সেলাই কাটার জন্য হাসপাতালে আসি। সেলাই কাটার পরে চিকিৎসকদের নির্দেশক্রমে আবার নতুন ভবনের প্যাথলজিতে পরীক্ষা করাতে যাই। সেখানে গিয়েই সেই ছিনতাইকারীকে দেখে চিনতে পারি। পরে তাকে ধরে ফেলি।

এ ঘটনার বিষয়ে হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, প্রায় প্রতিদিনই হাসপাতাল থেকে রোগী বা রোগীর স্বজন বা কারো না কারো মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও অথবা অন্য কোনো জিনিস চুরি হওয়ার ঘটনা শোনা যায়। আনসার সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই কাজগুলি করে থাকে চোরেরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমনকি ডাক্তারদের  পোশাক পডরে হাসপাতালে চুরি করারও চোরদের রেকর্ড আছে। সেই চোরের ছবিও হাসপাতালে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

>>> পড়ুন ঢামেকে টাকা-স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়ার সময় আটক ১

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩
এজেডএস/ এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।