ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বান্দরবানে আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে ৫২ পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
বান্দরবানে আতঙ্কে গ্রাম ছেড়েছে ৫২ পরিবার

বান্দরবান: সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানের মুখে আতঙ্কে বান্দরবানের রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নের মারমা সম্প্রদায়ের ৫২টি পরিবার গ্রাম ছেড়েছে।

রুমা সদরের মারমা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে অবস্থান নিয়েছেন ৫২ পরিবারের ১৪৬ জন সদস্য।

 

এছাড়া পাইন্দু ইউনিয়নের আশেপাশের আরও বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গেল কয়েকদিন ধরে পাহাড়ে অভিযান এবং সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফের আতঙ্কে কারণে পাইন্দু ইউনিয়নের হ্যাপিহিলপাড়া, বাসত্লাং পাড়া, আর্থাপাড়া, মুননুয়াম পাড়া ও মুয়ালপি পাড়ার বাসিন্দারা অন্যত্র যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে রুমা উপজেলা পাইন্দু ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান উহ্লামং বলেন, বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ গ্রামের জনসাধারণ রুমা সদরের মারমা ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ভবনে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশু রয়েছে। তাদের খাবার, কম্বল ও থাকার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত তারা রুমা সদরে অবস্থান করবেন।

মারমা ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুইপ্রুচিং মার্মা বলেন, আশ্রিতদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ত্রাণ বরাদ্দ দিয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত হয়তো তারা এখানে থাকবেন।

বাড়িঘর ছেড়ে আসার কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, হঠাৎ করে পাহাড়ে আধিপত্য বিস্তার করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেএনএফ। আর তাদের ধরতে সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের সদস্যরা প্রায় পাহাড়ে পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছে। বিভিন্ন সময় পাহাড়ে গোলাগুলি হচ্ছে। তাই নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আমরা সদরে চলে এসেছি।

বান্দরবানের রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.মামুন শিবলী বলেন, আশ্রয় নেওয়া লোকজনের খোঁজখবর ননেওয়া হয়েছে। তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে রুমা উপজেলার পাইন্দু ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কেএনএফের বন্দুকযুদ্ধ হয়। এতে কেএনএফের এক সদস্যের মৃত্যু হয়।  

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে মুননুয়াম পাড়া থেকে পুলিশের একটি টিম গিয়ে বন্ধুকযুদ্ধে নিহত কেএনএফ সদস্যের লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে তারা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রসঙ্গত, বান্দরবানের পাহাড়ে নতুন সৃষ্টি হওয়া সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এর সৃষ্টির পর থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়।  তাদের নির্মূলে ২০২২ সালের অক্টোবর মাস থেকে বান্দরবানের দুর্গম পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।