ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

তিস্তার চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

মো. আমিরুজ্জামান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
তিস্তার চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা

নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তার চরে পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী ইউনিয়নের তিস্তা নদীর চরে পেঁয়াজ আবাদ করেছেন স্থানীয় চাষিরা।

আবহাওয়া অনুকুলে থাকা ও রোগ-বালাই কম হওয়ায় এবারে ভালো ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে চাষি ও কৃষি কর্মকর্তা।

বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত বীজ ও নতুন চাষ পদ্ধতি কৃষি কাজের সবকিছু বদলে দিয়েছে। অন্যদিকে কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় জৈব সার ব্যবহারে কৃষকরা সুফল পাচ্ছেন। বিগত বছরের মতো গম ও তামাক চাষ না করে এবার চরাঞ্চলে শুধু পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। তিস্তা নদীর দুই কূলে জেগে উঠা চরে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা।

পেঁয়াজ চাষি শাহেদ আলী বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও চরের জমি চাষের উপযোগী হওয়ার কারণে ক্ষেতে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। পেঁয়াজ ঘরে তোলার সময় পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লাভবান হওয়ার আশা আছে।

অন্যান্য বছরের তুলনায় চলতি বছরে বিস্তীর্ণ জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। গত বছর বাজারে পেঁয়াজের তীব্র সংকট ও মুল্য বৃদ্ধি হওয়ায় সরকার উৎপাদন বৃদ্দির লক্ষ্যে চাষিদের বিনামূল্যে পেঁয়াজের বীজ ও সহয়তা দিয়েছে। এতে চাষিরা অন্যান্য ফসলের তুলনায় পেঁয়াজ চাষে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী বলেন, তিস্তার চরাঞ্চলে ৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। বিঘা প্রতি ৭০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। মসলা জাতীয় এসব ফসলে কৃষকরা লাভবান হয়ে থাকেন। তাই এ বছরও এই পেঁয়াজ চাষে কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।