ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফাঁড়ি এলাকা থেকে সরে গেছে ৩ বাঘ, স্বস্তিতে বনরক্ষীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
ফাঁড়ি এলাকা থেকে সরে গেছে ৩ বাঘ, স্বস্তিতে বনরক্ষীরা

বাগেরহাট: সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের চান্দেশ্বর অফিস এলাকায় বাঘগুলোকে আর দেখা যাচ্ছে না। বাঘের ডাকও শুনতে পাচ্ছেন না বনরক্ষীরা।

ধারণা করা হচ্ছে পথ ভুলে অফিস এলাকায় প্রবেশ করেছিল বাঘগুলো। মিস্টি পানির পুকুর পেয়ে পানি ক্ষেতে নেমেছিল বাঘগুলো।  

বনরক্ষীদের সতর্ক উপস্থিতি টের পেয়ে বাঘগুলো বনের গহীনে ফিরে গেছে এমনটি ধারণা করছে বনবিভাগ।

এর আগে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের আগ পর্যন্ত কয়েকবার বাঘ দেখেছে বনরক্ষীরা।  

বনরক্ষীরা বলছেন, চাকরি সূত্রে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে থাকলেও, বাঘ দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না। প্রথমবারের মত বাঘ দেখায় খুব ভয় পেয়েছিলাম। তবে বাঘগুলো চলে যাওয়ার পরে স্বস্তি ফিরে পেয়েছি আমরা।

চান্দেশ্বর অফিসের ইনচার্জ মো. ফারুক আহমেদ বলেন, শনিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের আগ মুহূর্তে একবার বাঘগুলোকে দেখা গেছে। পরে আর দেখা যায়নি। বাঘের গর্জনও শুনতে পাইনি আমরা। মূলত মনে হচ্ছে ঘুরতে ঘুরতে অফিস এলাকায় চলে এসেছিল বাঘগুলো। পরে পরিচিত এলাকা না হওয়ায় এবং বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে চলে গেছে।

তিনি আরও বলেন, বাঘগুলো খুবই শান্ত ছিল। কোনো হিংস্রতা দেখায়নি তারা। এরপরেও আমরা খুবই সতর্ক ছিলাম। সতর্কতার সঙ্গে ছবি তুলেছি। এখনও আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। আবার বাঘ এলেও যেন কারও কোনো ক্ষতি না হয় এবং বাঘগুলোকে কেউ যাতে বিরক্ত না করে সেজন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি।

বিভিন্ন সময় বনের মধ্যে বাঘ দেখতে পাওয়া ও বাঘ গণনা কার্যক্রমে সরাসরি অংশ নেওয়া বন কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, মানুষ ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী মানুষের সংস্পর্শে আসতে চায় না। তেমনি বাঘও মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকতে চায়। তবে বাঘ কখনও নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চায় না। ক্ষুধার্থ হলে বাঘ রাগান্বিত হয়ে যায়। এ সময় সে অতিরিক্ত ঘোরাফেরা করে। পেটে ক্ষুধা না থাকলে বাঘ বিশ্রাম নেয়, নিজেদের মধ্যে খুনসুটি ও ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করে। খুব ক্ষুধার্থ ও নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে হলেই বাঘ মানুষের ওপর আক্রমণ করে। এছাড়া কখনও বাঘ মানুষের ওপর আক্রমণ করে না।

চান্দেশ্বর অফিস এলাকায় বাঘ আসা সম্পর্কে আজাদ কবির আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে বাঘ ঘুরে বেড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যেসব স্থানে মানুষ থাকে সেখানে বাঘ যাওয়ার কথা না। ঘুরতে ঘুরতে পথ ভুলে ওই এলাকায় এসেছিল। পরবর্তীতে যখন বুঝতে পেরেছে, তখন ওরা নিজেদের পছন্দ মত স্থানে ফিরে গেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।