নীলফামারী: টাকার বিনিময়ে এক নারীর প্রাপ্য চাকরি অন্যকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের এক মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে।
সেই অভিযোগ মানববন্ধন করেছে ওই নারীর সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে (১৬ ফেব্রুয়ারি) শহরের পাঁচমাথা মোড়ে হরিজন মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সৈয়দপুর শাখার ব্যানারে ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতারণার শিকার হরিজন শ্রীমতি জোৎস্মা রাণী ওই মানববন্ধনে বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর বিনা বেতনে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউপির আইসঢাল খিয়ারপাড়া মাদ্রাসা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করেছি। কারণ মাদ্রাসা সুপার আফজাল বিন নাজির মৌখিকভাবে বলেছিলেন মাদরাসা গেজেটভুক্ত হলে চাকরি তোমাকেই দেওয়া হবে। এজন্য আমি দীর্ঘ ১৫ বছর বিনা বেতনে সেখানে কাজ করেছি। তিনি শুধু মাসে ৫০০ টাকা সম্মানি দিতেন। আজ মাদরাসা তালিকাভুক্ত হয়েছে। কিন্তু টাকার লোভে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার চাকরি তিনি অন্য কাউকে দিয়েছেন।
মানববন্ধনে হরিজন মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সৈয়দপুর শাখার নেতা আশিক বাসফোর কৃষ্ণা বলেন, এভাবে হরিজনদের অধিকার হরণ হতে থাকলে আমরা যাবো কোথায়? অবিলম্বে ৭ দিনের মধ্যে জোৎস্মা রাণীকে তার ন্যায্য চাকরিতে বহাল না করলে আমরা হরিজনরা শহরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার সকল কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হব।
মানবন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা রুহুল আলম মাস্টার, ওবায়দুর রহমান, হরিজন নেতা কালুসহ অন্যান্যরা।
মানবন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপিও দেন তারা।
অভিযোগের বিষয়ে আইসঢাল খিয়ার পাড়া মাদরাসা সুপার আফজাল হোসেন বলেন, জোৎস্মা রাণী যে ১৫ বছর কাজ করেছেন তার কোনো লিখিত ডকুমেন্ট নেই। তারা মিথ্যা বলছেন। যাকে চাকরি দেওয়া হয়েছে নিয়ম মেনেই দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৩
এসএএইচ