পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে বিএনপির গণমিছিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচটি পৃথক মামলায় ১৫ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিএনপির নেতাকর্মীরা জামিন আবেদন করলে বিচারক শরীফ হোসেন হায়দার ১৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- শাওন, এটি এস তৌফিক মুছা, জাকির হোসেন, মোজাহার আলী, কুয়েত, সুহেল, দুলাল, শরিফুল ইসলাম পারভেজ, জুয়েল রানা, সাবিরুল ইসলাম, সুহেল রানা, এ আর পলাশ, নুরজামাল, হিটলার ও মিলন। তারা প্রত্যেকেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠণের নেতাকর্মী।
জানা গেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে মোট ৫৮ জন উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিনে ছিলেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা নিম্ন আদালতে পূণরায় জামিন আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক ১৫ জনের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং বাকি ৪৩ জনের জামিন বহাল রাখেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবি ও জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আদম সুফি বাংলানিউজকে বলেন, যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা তাদের পক্ষে আগামী ধার্যদিনে আবারও জামিনের আবেদন করবো।
এর আগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে পঞ্চগড় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি গণমিছিল বের করলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হয়। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ঘটনায় পঞ্চগড় সদর থানার পাঁচজন উপ-পরিদর্শক বাদী হয়ে পাঁচটি পৃথক মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় মোট ৮১ জনের নাম উল্লেখসহ এক হাজারেরও বেশি অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়। মামলায় সরকারি কাজে বাধা, পুলিশের ওপর বল প্রয়োগ, ককটেল বিস্ফোরন, সড়ক অবরোধ এবং জানমালের ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ তোলা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এফআর