মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামে একটি সভায় সৃষ্ট বাগ-বিতণ্ডার জেরে দফায় দফায় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এসময় আহত হয়েছেন নারীসহ উভয়পক্ষের ১৩ জন।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে ও রাত ১০টার দিকে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সুমন রেজার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- নওপাড়া গ্রামের মৃত সোনা মল্লিকের ছেলে বিশু আহমেদ (৬৫) মোজাম্মেল হক (৬০), মালেকুল ইসলাম (৫০), আবু তালেবের ছেলে সুমন রেজা (২৮), ইদ্রিস আলীর ছেলে মহিবুল ইসলাম (৫০), মোজাম্মেল হকের ছেলে শাকিল রেজা (২৮), আলমাজ আলীর ছেলে আল শাহরিয়ার ওরফে ওসমান (১৮) ও আবুল কাশেমের ছেলে মহিবুল ইসলাম (৩৬)।
অপর পক্ষে আহত হয়েছেন সহির উদ্দীনের ছেলে সুমন আলী (৩২), একরামুলের ছেলে সাহেদ আলী (১২), সাহেদ উদ্দীনের ছেলে সায়েম আলী (১৪), আহম্মদ আলীর ছেলে ওমিদ আলী (১৬), মহিবুলের ছেলে ছাব্বির (১৬), আমিরুলের স্ত্রী তানোয়ারা। আহতরা সবাই নওপাড়া স্লুইস গেটপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আহত আল শাহরিয়ার বলেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে নওপাড়া গ্রামের স্লুইসগেটপাড়া এলাকায় একটি ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নওপাড়া গ্রামের ক্লাবপাড়া এলাকার রজিব আলীর ছেলে সাগর ও মহিবুল কালার ছেলে সাব্বির হোসেনসহ কয়েকজন খারাপ আচরণ করে। এ নিয়ে সভার আয়োজকদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এ ঘটনার জেরে বুধবার সন্ধ্যার দিকে নওপাড়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে মোজাম্মেল হককে ক্লাবপাড়া এলাকায় মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে বাজার থেকে একে একে ৭ জনকে পিটিয়ে জখম করে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আশিকুজ্জামান বলেন, আহতদের শরীরে বাটাম দিয়ে মারের ক্ষত রয়েছে। কয়েকজনকে রক্তাক্ত করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে সুমন রেজার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৮
আরএ