বান্দরবান: বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজায় ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের জনসাধারণ তাদের জন্য ৫ একর করে জমি বরাদ্ধ দেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
শনিবার (৪ মার্চ) সকালে লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজার জুমিয়া পরিবারের ব্যানারে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কয়েকজন এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডলুছড়ি মৌজার বিশয়চন্দ্র ত্রিপুরা। এসময় ডলুছড়ি মৌজার ফদরাম ত্রিপুরা কারবারী, জয়চন্দ্র ত্রিপুরা, বৈশুরাম ত্রিপুরা, অনারাং ত্রিপুরা, জরাং ত্রিপুরা, ওয়াশিং ত্রিপুরা, সাকোব ত্রিপুরা, শুময়েল ত্রিপুরা, জাকেলা ত্রিপুরা, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করতে গিয়ে ডলুছড়ি মৌজার বিশয়চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজার বেশ কিছু জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তারই প্রেক্ষিতে আমরা এই জমির বিরোধ নিরসনে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছিলাম আর তার প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৬ আগষ্ট জেলা প্রশাসক ও পার্বত্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আমাদের প্রত্যেককে ৫ একর করে জমি দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেই সিদ্ধান্ত শুনে আমরা খুশি। তবে আমাদের এই জমি গ্রহণে আমাদের এলাকার মথি ত্রিপুরা, রংধজন ত্রিপুরা, লাংকম ম্রো, রেংয়ে ম্রোসহ কয়েকজন ব্যক্তি এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছে এবং নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে জমি বুঝে না নিতে।
ডলুছড়ি মৌজার বিশয়চন্দ্র ত্রিপুরা আরও বলেন, আমরা ত্রিপুরা সম্প্রদায় আর কারো সঙ্গে জমি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ করতে চেই না। আমরা চাই সরকারিভাবে আমাদের নামে ৫ একর করে জমি দেওয়া হোক আর তাতেই আমরা খুশি।
এসময় বক্তব্য দিতে গিয়ে ডলুছড়ি মৌজার ফদরাম ত্রিপুরা কারবারী বলেন, আমরা এখন আমাদের স্বগোত্রীয়দের হামলা ও মামলার ভয়ে আছি। প্রশাসন যদি আমাদের বিষয়টি সুদৃষ্টি প্রদান করে নজর দেয় তাহলে আমরা এই জমি নিয়ে চলতি বছর জুম চাষ করে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে জীবনধারণ করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এসএ