চাঁদপুর: চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ১৫ জেলেকে আড়াই মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেশমা খাতুন।
কারাদণ্ড প্রাপ্ত জেলেরা হলেন-মতলব উত্তর উপজেলার ধলু (৪৫), আবুদস সালাম (৪৫), আনছার আলী (৬৭), ইয়াছিন মোল্লা (৩৭), জুয়েল (৩৫), ময়নাল হক (৩৮), সোহরাব হোসেন (৪০), মো. আল-আমিন (২২), আবদুল কাদির (৩৫), মো. বিল্লাল খান (৪০), কুমিল্লার মেঘনা থানার মো. রাসেল (২২), মো. গোলাজার হোসেন (৩৮), মো. কামাল, শরীয়তপুর জেলার শখিপুর থানার (২৫), বিল্লাল হোসেন (২৯) ও মো. নাসির (৪০)।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান রাতে এসব তথ্য বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চাঁদপুর মৎস্য অধিদপ্তর ও নৌবাহিনী যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ১৭জন জেলেকে আটক করা হয়। এর মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজিকান্দির সাগর (১৪) ও কুমিল্লার মেঘনা থানার সোহাগ (১৫) অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় পরিবারে জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য ১৫জনকে দুই মাস ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
তিনি আরও বলেন, অভয়াশ্রম এলাকার মেঘনা মোহনা হতে অভিযানের সময় দুই লাখ মিটার কারেন্টজাল, চারটি ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার নৌকা ও ২০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়। এছাড়াও একটি মশারি জাল জব্দ করে ১০০ কেজি চেওয়া মাছ নদীতে অবমুক্ত করা হয়।
সন্ধ্যায় জব্দকৃত কারেন্টজাল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট, জাটকাগুলো স্থানীয় এতিমদের মাঝে বিতরণ এবং নৌকাগুলো কোস্টগার্ডের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেও জানান এই মৎস্য কর্মকর্তা।
পদ্মা-মেঘনায় জাটকা রক্ষায় সরকার ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ করেছে। মৎস্য আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ঘণ্টা: ১২১০, মার্চ ১০, ২০২৩
এসআইএস