ঢাকা: রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত অফিসার্স ক্লাব ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পাঁচ দশকের বেশি পুরনো অফিসার্স ক্লাব কালপ্রবাহে প্রজাতন্ত্রের সিনিয়র কর্মকর্তাদের মিলনস্থল হয়ে উঠেছে।
অফিসার্স ক্লাবে অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার সার্বিক সক্ষমতা বাড়ানো, বিনোদন ব্যবস্থার পরিধি বাড়ানো, সদস্যদের মাঝে সুসম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করতে নতুন একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল ২০১৯ সালে।
সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা প্রসারের ক্ষেত্রে অফিসার্স ক্লাবের নতুন ভবন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নিযুক্ত করা হবে। এর ফলে সাময়িকভাবে যে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, তা দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলেও তারা মনে করেন।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতায় গণপূর্ত অধিদপ্তর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রথম দিকে নকশা ছিল ১২ তলা একটি ভবন নির্মাণ করা হবে, যার ৩টি বেজমেন্ট থাকবে। মাল্টি-লেভেল সুইমিংপুল থাকবে ১টি। মূলভবনের সঙ্গে সেতুসহ আরসিসি সংযোগ থাকবে। থাকবে ভূ-গর্ভস্থ জলাধারসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা।
বর্তমানে মূল নকশা থেকে শুরু করে প্রকল্প মেয়াদ ও নির্মাণ ব্যয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এ সংক্রান্ত সভায় জানানো হয়, প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনীতে নির্মাণ ব্যয় ৫০% শতাংশ বাড়ে, যা নিয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়। সভায় নির্মাণাধীন এ প্রকল্প নিয়ে প্রধান প্রকৌশলী দায়িত্ব নিয়ে জানান, একটি আধুনিক ভবনে তাও প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তাদের জন্য, গণপূর্তের জন্য এ প্রজেক্ট অতিশয় সম্মানের, প্রথম দিকের নকশার বিস্তারিত আলাপে না গিয়ে সংশোধনী নকশার মূল ভবনে টাওয়ার দুটি থাকলেও নতুন প্রস্তাবে ৩টি বেজমেন্টসহ ১টি ১২তলা ভবন প্রস্তাব করা হয়েছে, যাতে ১২০০ জন ধারণক্ষমতার আডিটরিয়াম, ৩টি সুইমিং পুল ও ৩৬৬টি পার্কিং সুবিধার প্রস্তাব করে হয়েছ।
প্রস্তাবিত নতুন নকশায় ভবনের মোট আয়তন বাড়বে ২,০০,০০০ বর্গফুট প্রায়। প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা ও নির্মাণ ব্যয় বাড়া নিয়ে জানতে চাইলে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার মুঠোফোনে জানান, নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে তা অনুমোদনও করেছে মন্ত্রণালয়। দেশের প্রথম সারির কর্মকর্তা আমলা, সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ অফিসার্স ক্লাব, এমন একটা ইনফ্রাস্টাচার করতে পারবেন না যা ৫০/১০০ বছর পরে গিয়ে সময়োপযোগী মনে না হয়। সেদিন আমাদের অভ্যন্তরীণ মিটিং ছিল এই প্রজেক্ট নিয়ে, সেখানেও এই প্রশ্ন করেছিলেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, বারবার নকশা পরিবর্তনজনিত কারণে প্রকল্পের ধীর অগ্রগতির কথা বলছেন, সবাই মিলেই কিন্তু একটা চেষ্টা ছিল একটা ইনট্রিগ্রেডেড কমপ্লেক্সে রূপ নিবে এই সংশোধনী নকশা, সেখানে অফিসার্স ক্লাবের মেম্বারদের মত ছিল এবং তারাও বারবার নতুন নতুন বিষয় নকশায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই হল পেছনের ঘটনা।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাকে সময়ের থেকে আধুনিক দেখতে চান। প্রস্তাবিত নতুন নকশা কিন্তু সেই চিন্তার যোগফল, বলেন মোহাম্মদ শামীম আখতার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৩
ডিএইচবি/এমজেএফ