ঢাকা, সোমবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভিসামুক্ত চলাচল চাই: মোমেন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
প্রতিবেশী দেশগুলোতে ভিসামুক্ত চলাচল চাই: মোমেন

ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভিসামুক্ত চলাচলের তাগিদ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভিসামুক্ত চলাচল চাই। যদি এটা আমরা করতে পারি তাহলে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়বে।

রোববার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাংলাদেশ-নেপাল বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন: শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধি ভাগাভাগির দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে বিআইআইএসএস।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে নেপালের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে এসেছিলেন। তিনি সে সময় বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেছিলেন। বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক উন্নয়নে জোরও দিয়েছিলেন।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের সম্পর্কের পরবর্তী ৫০ বছর কেমন দেখতে চাই, সেটাই আলোচনা করতে হবে। দুই দেশের মধ্যে এনার্জি, পর্যটন,  বাণিজ্য খাতে সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য খুব বেশি নয়। দুই দেশের মধ্যে আরও বেশি বাণিজ্য হওয়া উচিত।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশ এনার্জি সহযোগিতায় অনেক এগিয়েছে।  নেপাল থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা আনতে চাই। তবে সেটা দেরি হচ্ছে।

সেমিনারে ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর মাশফি বিনতে শামস বলেন, বাংলাদেশ-নেপালের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি-পিটিএ নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া বাণিজ্য বাড়াতে ট্যারিফ বাধা চিহ্নিত করে সেটা দূর করতে হবে। দুই দেশের মধ্যে বিমান যোগাযোগ আরও বাড়ানো যেতে পারে।  শুধু ঢাকা নয়, সৈয়দপুর থেকেও বিমান চলাচল হতে পারে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে জোর দেন তিনি।

সেমিনারে ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধীরে ধীরে বাড়ছে।  আঞ্চলিক ও বহুমুখী ফোরামেও বাংলাদেশ-নেপাল একযোগে কাজ করছে। এনার্জি সহযোগিতার লক্ষ্যে উভয় দেশেরই যেন উইন উইন সিচুয়েশন হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।

তিনি বলেন, তিন হাজার নেপালি শিক্ষার্থী বাংলাদেশে পড়াশোনা করছে। আর নেপাল বাংলাদেশিদের অন্যতম গন্তব্য। ২৫ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক ২০২২ সালে নেপাল ভ্রমণ করেছে।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টেগ্রেট ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের সভাপতি সোয়ামিম ওয়াগলে। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
টিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।