ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আশ্রয়ণ প্রকল্প-২: গৃহ হস্তান্তরের সেবা ক্রয় নীতিগত অনুমোদন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫, ২০২৩
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২: গৃহ হস্তান্তরের সেবা ক্রয় নীতিগত অনুমোদন 

ঢাকা: আশ্রয়ণ প্রকল্প দুইয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের বরাদ্দ হওয়া গৃহ হস্তান্তর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সেবা সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে করার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

চলতি মাসেই সরাসরি কিংবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আশ্রয়ণ প্রকল্প দুইয়ের তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও চর্তুথ পর্যায়সহ শিগগিরই ৫৭ হাজার ৭৩৭টি গৃহ হস্তান্তর করা হবে।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷ 

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্প আসলে টাকার ইস্যু না। এটি হচ্ছে ক্রয় পদ্ধতির ইস্যু। আশ্রয়ণের মূল কাজের বিষয়ে না, আনুষঙ্গিক কার্যক্রম নিয়ে একটি প্রস্তাব এসেছে।

তিনি বলেন, গৃহ হস্তান্তর উদ্বোধনের জন্য যে আয়োজনগুলো করা হয়। উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় থেকে বিভিন্ন জেলার ডিসিদের সঙ্গে একটি ভিডিও কনফারেন্স হয়। ওই আয়োজনের বিষয়টি এখানে এসেছে। মূল আশ্রয়ণ না। উদ্বোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম যাতে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে (ডিপিএম) করা হয়, সে বিষয়টি এখানে আলোচনায় এসেছে।

জানা গেছে, উদ্বোধন অনুষ্ঠানের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে সাত কোটি টাকা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে মোট এক লাখ ৭৫ হাজার ৯৬৭টি গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ও চর্তুথ পর্যায়সহ আরও ৫৭ হাজার ৭৩৭টি গৃহ হস্তান্তর করা হবে।

কক্সবাজার ও অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলে ১৯৯৭ সালের ১৯ মে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ মে টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন পরিদর্শন করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহহীন গরিব পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে বছরই দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য ‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্প চালু করেন।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৯৯৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৯০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এক লাখ পাঁচ হাজার ৯১৩টি ভূমিহীন, গৃহহীন ও অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। আশ্রয়ণ মানে কেবল আবাসনের ব্যবস্থা নয়; বরং এটির পরিধি আরও ব্যাপক ও বিস্তৃত। উপকারভোগীরা দুই শতাংশ করে জমি পেয়েছেন; একটি অর্ধপাকা দুই কক্ষের ঘর পাচ্ছেন; বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগছে এখানে এবং এতে রয়েছে গোসলখানা, টয়লেট ও রান্নাঘর।

বাংলাদেশ সময় : ১৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৫,২০২৩
জিসিজি/জেএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।